!! মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস নেই।এই বিপুল পরিমান অর্থ তিনি প্রতারণার মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করেছেন। প্রাথমিকভাবে তথ্য প্রমাণে সেটা প্রমাণিত। তার এই আয় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় এবং আয়ের উৎস বর্হিভুত উক্ত অস্থাবর সম্পদ তার দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অপরাধ করেছেন !!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ প্রতারণা করে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক ও মালিক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ১ ডিসেম্বর রায়ের জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। এই সময়ে আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
এদিকে চট্টগ্রামের হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি আনিসুল ইসলামের বিদেশ যাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তৌফিক ইমরোজ খালিদীর মামলায় আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তৌফিক ইমরোজ খালিদীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির বিপ্লব।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর জামিন বাতিলের জন্য দুদকের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। রায় ১ ডিসেম্বর। এ সময়ের মধ্যে খালিদী বিদেশ যেতে পারবেন না।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে।
একই বছরের ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন বাতিলে ১০ দিনের রুল জারি করেন। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদি হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ওই মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস নেই।এই বিপুল পরিমান অর্থ তিনি প্রতারণার মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করেছেন। প্রাথমিকভাবে তথ্য প্রমাণে সেটা প্রমাণিত। তার এই আয় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় এবং আয়ের উৎস বর্হিভুত উক্ত অস্থাবর সম্পদ তার দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অপরাধ করেছেন। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর থেকে জামিনে আছেন খালিদী।
তিনি দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে নিজেরই অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।
