বিশেষ প্রতিবেদনঃ সেনা প্রধান ও আইজিপি পদে এক্সটেনশন বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ করে সিনিয়র মোস্টকেই নিয়োগ করা উচিৎ

Uncategorized জাতীয়



নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সেনা প্রধান ও আইজিপি পদে এক্সটেনশন বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ করে সিনিয়র মোস্টকেই নিয়োগ করা উচিৎ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সেনা বাহিনী প্রধান ও পুলিশের আইজি পদে এক্সটেনশন বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এখন থেকে একবারেই বন্ধ করা উচিৎ এবং এখন থেকে এই সব পদে সিনিয়র মোস্টকেই (একদিনের সিনিয়র হলেও) নিয়োগ দিতে হবে।এইগুলো একজনের দীর্ঘ চাকরী জীবনের আকাংখিত সব্বোচ্চ পদ এবং সবারই আকাংখা থাকে সিনিযরিটি অনুযায়ী সে একদিনের জন্যে হলেও এ সব পদে নিয়োগ পাক।যে দল ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পিতার নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে একটি দেশ স্বাধীন হয়েছে-সে দল ও সে নেত্রীর শাসনামলে মানুষ আর জন আকাংখার ব্যতয় দেখতে চায় না।

প্রসঙ্গ; সেনাবাহিনী প্রধান নিয়োগঃ সেনাবাহিনীতে প্রতিটি পদেই নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষন শুরুর আগে বা শেষে একটি শপথ নামা পাঠ করতে হবে-যেখানে থাকবে, মুক্তি যুদ্ধের চেতনা।জাতিরজনক- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জয় বাংলা- জাতীয় শ্লোগান এবং রাষ্ট্রের সংবিধান ও আইনের প্রতি অবিচল আস্হার কথা।
সেনা প্রধান বা বাহিনী প্রধান নিয়েগের ক্ষেত্রে ”কঠোর বাছাই পর্ব” শুরু করতে হবে ব্রিগেডিয়ার পদ থেকেই।এ পদ থেকে ওপরের দিকে উঠার মাপকাঠি হবেঃ পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, দূরদর্শিতা সততা সহ অন্যান্য যোগ্যতা।
যাদের মধ্যে অন্তত এই যোগ্যতা থাকবেনা তারা ব্রিগেডিয়ার পদ থেকেই ড্রপ যাবেন এবং যাদের মধ্যে অন্তত এই তিনটি গুনের সমন্বয় থাকবে তারাই কেবল মেজর জেনারের ও লে: জেনারেল পর্যায়ে পদোন্নতি পাবেন এবং ”সব দিক বিবেচনায় যারা সেনা প্রধান হওয়ার মত যোগ্যতা রাখবেন” তারাই কেবল লে: জেনালে পর্যায়ে পদোন্নতি পাবেন-অন্যরা নয়।

এর পর তাদের মধ্য থেকেই সিনিয়র মোস্টকেই একদিনের জন্যে হলেও সেনা প্রধান বা বাহিনী প্রধান করতে হবে-কোন অবস্হাতেই এর ব্যতয় ঘটানো ঠিক হবে না।ফলে কারো মধ্যেই কোন দু:খ-বেদনা ক্ষোভ থাকবে না এবং একটি স্হায়ী সিসটেম দাড়িয়ে যাবে-যা ভাঙ্গতে আর কোন সরকারই সাহস করবে না।ভাঙ্গলে তীব্রভাবে সমালোচিত হবে সরকার।

প্রসঙ্গ: আইজিপি নিয়োগ: আইজপি সহ পুলিশের বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও ওপরে বর্নিত একই মাপকাঠি অনুসরন যোগ্য।যারা আইজিপি হতে পারবেন না-তাদেরকে অতিরিক্ত আইজিপি পদে

নিয়োগ দেয়া যাবেনা। প্রত্যেক অতিরিক্ত আইজিপিরই আইজিপি হওয়ার মত যোগ্যতা থাকতে হবে এবং তাদের মধ্যে যিনি সিনিয়র মোস্ট কেবল এবং একমাত্র সর্ববস্হায় তিনিই এক দিনের জন্যে হলেও আইজিপি হতে পারবেন বা তাকেই আইজপি করতে হবে-অন্য কাউকে নয়।

ওপরে বর্নিত পদগুলোতে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর এই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর তথ্য প্রমান পাওয়া গেলে সাথেই সাথেই তাদেরকে অপসারন করতে হবে এবং সে আইনগত সুযোগতো সরকারের হাতে সবসমযই থাকছে।

দেশের মানুষ সব জায়গায় স্বস্হি-শৃংখলা চায়-আর এটা নিশ্চিত করার সব চেয়ে বেশী দায়িত্ব যে দলের নেতৃত্বে দেশটি স্বাধীনতা পেয়েছে -অন্যরাতো ভাল কাজে তাদেরকেই অনুসরন করার কথা।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *