সাবেক ছাত্রনেতাদের পুনর্বাসন কেন্দ্র স্বেচ্ছাসেবকলীগ

জাতীয় রাজধানী রাজনীতি

বিশেষ প্রতিবেদক : স্বেচ্ছায় সেবা না দিলেও নামে সেবকলীগ। সাবেক ছাত্রনেতাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠনটি। দলটির আগামী ১৬ নভেম্বর জাতীয় সম্মেলনে শীর্ষপদে প্রার্থী হচ্ছেন ডজনখানেক নেতা। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অভিযুক্তরাও প্রার্থী হচ্ছেন এবারের সম্মেলনে। তবে সমালোচিতরা প্রার্থী হলেও লাভ নেই বলে জানালেন নীতি নির্ধারকরা।
২০০৬ সালে ঢাকা মহানগর ও ২০১২ সালে সবশেষ কেন্দ্রীয় সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবকলীগ। তিনবছর মেয়াদী কমিটি গত তের বছরেও সম্মেলন করতে পারেনি। যদিও সম্মেলন না করার পেছনে দেখিয়েছে নানা যুক্তি।
এরই মধ্যে সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানে ক্যাসিনো সম্পৃক্ততায় নাম আসে দলটির সভাপতি মোল্লা আবু কাওসারের। অবশেষে গত বুধবার তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে শীর্ষ দুইপদে লড়তে প্রার্থী হচ্ছেন প্রায় ডজনখানেক সাবেক ছাত্রনেতা ও দলের গুরুত্বপূর্ণরা। তবে তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুর রহমান খান ইরান বলেন, একটা প্রমাণ দিতে পারলেও আমরা আমাদের পদ ছেড়ে দেবো।
দলে যাদের ত্যাগ ও অবদান আছে এমন কর্মীদেরই মূল্যায়নের দাবি করছেন পদপ্রত্যাশীরা। তারা বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা আর দলে সুযোগ পাবেন না।
বিগত দিনে দলে অবদান নেই ও যাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা আছে তারা প্রার্থী হলেও লাভ নেই, বলছেন নীতিনির্ধারকরা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, যারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তারা বাদ যাবেন। তরুণদের প্রাধান্য দেয়া হবে।
এবারের সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পরিবর্তন আসবে বলেও মনে করেন তারা।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *