‘ট্রাই-সেমিস্টারে’র পরিবর্তে ‘বাই-সেমিস্টার’ পদ্ধতি চালুর বিষয়ে ইউজিসি’র সাথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির মতবিরোধ

Uncategorized অন্যান্য


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী জানুয়ারি থেকে ‘ট্রাই-সেমিস্টারে’র পরিবর্তে ‘বাই-সেমিস্টার’ পদ্ধতি চালু করার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একতরফা সিদ্ধান্ত বলছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। আলাপ-আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে চাচ্ছে না সমিতি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘কোনোরকম আলাপ-আলোচনা ছাড়া হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। আমরা মানতে রাজি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) হঠাৎ করে একটি নির্দেশনা দিয়েছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বছরে ট্রাই-সেমিস্টারের পরিবর্তে বাই-সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে, এটা হতে পারে না। কোনও কিছু পরিবর্তন করতে হলে শুধু আইনকানুন দিয়ে হয় না। আলাপ-আলোচনা করতে হয়। সরকার যখন বাজেট করে, তখন বিভিন্ন সেক্টরের সঙ্গে আলাপ করে। এত দিন ধরে তিন সেমিস্টারে চলে আসছে, হঠাৎ বাই-সেমিস্টার’ পদ্ধতি মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলে আমি মনে করি। যদি পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সঙ্গে আলাপ করে করতে হবে।’
শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘সমিতি ১০৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করছে। এ বিষয়ে আমরা অনেকবার চিঠি দিয়েছি ইউজিসিতে যে এটা হবে না, আমাদের সঙ্গে আলাপ করেন। শিক্ষামন্ত্রী কোনও এক মিটিংয়ে আমাদের সঙ্গে চা খাচ্ছিলেন, তখন ইউজিসির কোনও একজন সদস্যকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিন সেমিস্টারে আপনাদের সমস্যা কোথায়? তিনি কিন্তু সদুত্তর দিতে পারেননি। তখন মন্ত্রী আমাদের বললেন, যদি পরিবর্তন করি, তাহলে অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে করবো। কিন্তু আমাদের সঙ্গে আলাপ করেননি। একচেটিয়াভাবে একটি চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে, এটা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। যদি করতে হয়, আমাদের সঙ্গে আলাপ করে করতে হবে। আমরা অনুরোধ করবো, আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করবো। আমরা বলছি না টু সেমিস্টার ইস নট অ্যাকসেপ্টেবল? আমরা বলছি সবকিছুই হতে পারে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে। উনারা (ইউজিসি) যদি উনাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, তাহলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা এটা মানতে রাজি না। আগে আমাদের ওপর ভ্যাট বসানো হয়েছিল।’

একতরফা সিদ্ধান্ত স্যাবোটাজ উল্লেখ করে শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘এখন যদি এইটা (বাই-সেমিস্টার) করতে চায়, তাহলে তারা স্যাবোটাজ করতে চায়। সরি, আমি এটা বলতে বাধ্য হলাম।
যেখানে একটা প্রবলেম চলছে, সেখানে এই সময়ে এটা টেনে আনার কোনও যৌক্তিকতা আমি দেখি না। আমি অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে দেবো, যেখানে তিন সেমিস্টার আছে, সেখানে তিন সেমিস্টার চলবে। যদি দুই সেমিস্টারের সাবজেক্ট নিয়ে থাকে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়, তাহলে তারা দুই সেমিস্টার চালাবে।
তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি থেকে দুই সেমিস্টারে যাওয়ার কথা আমরা মানতে রাজি না, মানতে রাজি যদি, আমাদের সঙ্গে আলাপে বসে। আলাপে বসবে, আলাপে যে সিদ্ধান্ত হবে, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হবে। আলোচনা ছাড়া কোনও জিনিস চাপিয়ে দেওয়া ঠিক না। আলাপ-আলোচনা না করে করলে সেটা কার্যকরী করা কঠিন, ভুলভ্রান্তিও থাকে।’


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *