বিশেষ সম্পাদকীয় ঃ সাংবাদিকদের উপরই কেন বারবার হামলা?

Uncategorized অন্যান্য


সাংবাদিকদের উপর অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা যেন একটা চলমান কালচারাল রীতিতে পরিনত হয়েছে । পেশাগত কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীদের মারধরের শিকার হচ্ছে সাংবাদিকরা।
সাংবাদিক সুরক্ষায় দেশে বিশেষ কোনো আইন নেই বিধায় এ ঘটনা অহরহ ঘটছে। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দদের শুধুমাত্র সাংবাদিক সংগঠনের নির্বাচনের সময় সাংবাদিক দরদী সহমর্মিতা প্রদর্শন করতে দেখা যায়, নির্বাচন শেষ দরদী সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের আনাগোনা ও শেষ। নির্বাচনের পর নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ নিজেদের নিয়ে ই ব্যাস্ত হয়ে ওঠেন। তখন যাদের কাছে ইনিয়ে- বিনিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন তাদেরকে ই অপ্রসাংগিক প্রশ্নের বান ছুড়ে মারেন, আপনি কোন হাউসে আছেন? কিভাবে চলেন? আরও অনেক অবান্তর প্রশ্নের শেষ নেই। ওনাদের ভাব সাব যেন ধোঁয়া তুলশী পাতা! ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির! ওনারা যেন চাঁদের দেশ কিংবা মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছেন। কোন বেকার সাংবাদিককে কেন নেতা চাকুরী দিয়েছেন এমন নজীর সাংবাদিক সংগঠন নেই বললেই চলে।

এবার মূল কথায় আসি গনমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলার প্রধান কারণ হচ্ছে যে সমস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারা অবৈধভাবে কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে যখন সংবাদ হয়, তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সংবাদ প্রকাশের পর তারা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়। তারপর মারধর ও হত্যা পর্যন্ত করে থাকে।” সাংবাদিকতা দিন দিন ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

সাংবাদিকদের উপর বিভিন্ন সময় হামলার ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ সময়ই এসব হামলার সাথে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকার পাশাপাশি তাদের লালিত ও পালিত কিছু দালাল শ্রেণীর জ্ঞ্যানপাপী সাংবাদিকরা মীরজাফর হিসেবে কাজ করে।ফলে এসব ঘটনার বিচার হয় না বললেই চলে। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতিই সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনাকে উস্কে দিচ্ছে।”

প্রত্যেকটি ঘটনার যথাযথ বিচার হলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়তবা হতো। তবে সবচেয়ে বড় কাজটি হবে সমাজ মানসিকতায় পরিবর্তন আনা। কারণ সাংবাদিকের উপর সহিংস হয়ে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করা যায় না।
গণমাধ্যম সমাজের আয়না স্বরুপ, এর কর্মীদের উপর হামলা না করে প্রভাবশালীরা নিজেদের সংশোধন করলেই বৃহত্তর সমাজ উপকৃত হবে।”
কেউ ভাল কাজ করলে গণমাধ্যমে তা ইতিবাচকভাবেই আসে, আর খারাপ কাজ করে ইতিবাচক কাভারেজ প্রত্যাশা করা যায় না। আর সেটিকে পেশিশক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা বর্বরতার শামিল।

কিছু ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীরাও বিতর্কিত হচ্ছেন। কিছু ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীদের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে দেখা যায়।

আবার কিছু ঘটনায় নিরীহ সাংবাদিকের বিপক্ষে গিয়ে কিছু সাংবাদিককে ক্ষমতাবানদের তাবেদারি করতে দেখা যায়। এই দুই ধরনের সাংবাদিকই গণমাধ্যমের জন্য ক্ষতিকর কারণ এরা আত্মঘাতী কর্মকান্ডে লিপ্ত।

তাই নিজেদেরকে দ্রুত পরিবর্তন করে একজন স্বচ্ছ ও দক্ষ গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ, দেশ ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। সেই সাথে সাংবাদিকদের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *