নিজস্ব প্রতিবেদক : তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের স্বঘোষিত সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী খন্দকার জুলফিকার মতিন এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার ১২ মে সকালে তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ের সিবিএ অফিসের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিক কর্মচারীরা জানান বিগত দেড় দশক ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি নং বি-১৯৪০ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জুলফিকার মতিন সংগঠনের জন্য ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হন।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর তিতাস গ্যাসের বিএনপি সমর্থিত কর্মচারী ইউনিয়নে জুলফিকার মতিন নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করে একক আধিপত্য বিস্তার করেন।

তিতাস গ্যাসের বিভিন্ন জোনাল অফিসগুলোয় কমিটি দেয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেন।গত ৯ মাসে খন্দকার জুলফিকার মতিন তিতাস গ্যাসে বদলি বাণিজ্য ও তদবীর বানিজ্য চালিয়ে কোটি কোটি টাকা অবৈধ ভাবে উপার্জন করেন। দীর্ঘ দিনের ত্যাগী নেতাদের পাশ কাটিয়ে তিনি এককভাবে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন।

তার বিতর্কিতকর্মকান্ডের কারণে তিতাস গ্যাসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তিনি অবসর প্রাপ্ত একজন কর্মচারী হয়েও সব কিছু এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার আত্মীয় পরিচয়ে সংগঠনে প্রভাব বিস্তার করেন।সব কিছু মিলিয়ে গত কয়েকদিন যাবত সাধারণ কর্মচারীরা এইসব বিষয়ে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন।
এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার ৮ মে কর্মচারীদের পক্ষে তিতাস গ্যাসের জাতীয়তাবাদী কর্মচারী ইউনিয়নের ত্যাগী নেতা ফয়েজ আহমেদ লিটন ও আব্দুল জব্বার সহ সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীরা সিবিএ অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন।
বর্তমানেও ইউনিয়ন অফিস তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে তারা।
সোমবার এই বিষয়ে তিতাস গ্যাসের কোম্পানি সচিবের মধ্যস্থতায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সেখানে সকলেই খন্দকার জুলফিকার মতিনের কর্তৃত্ব মানতে অস্বীকার করে। এবং দ্রুত ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করার আহ্বান জানান।