রাতের আধাঁরে নদীভরাট,অন্যদিকে মুফাকরুল বলেন নদীর যায়গা ভরাট করতে বলেছে নড়াইলের,এসিল্যান্ড

Uncategorized আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল তুলারামপুর ইউনিয়ন যেন ভূমিদর্ষুদের দখলে,রাতের আধাঁরে নদী দখল করতে পাহাড় সমান মাটি ভরাট করছে কেবা কাহা’রা এবং সকালে এমন কান্ড দেখেই জনমনে নানা গুনজনের সৃষ্টি এবং মুফাকরুল আমিনের বিরুদ্ধে নদীর যায়গা দখল করার অভিযোগ কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেই কর্তিপক্ষের ভূমিদর্ষুদের বিরুদ্ধে। মুফাকরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন,আমি সরকারি একইঞ্চি জমিও দখল করিনি,এটা আমার জমি,আমি অসুস্থ না যে সরকারি জমি দখল করব,আমি সরকারের একইঞ্চি জমি দখল করলে সেটা নিজের খরচে কেটে দিব। গত (৯ জানুয়ারী) সোমবার তুলারামপুর সদ্য নির্মিত ব্রিজের নিচে ট্রাককে ট্রাক মাটি ফেলে নদী ভরাট করছে রাতের আধাঁরে কে বা কাহা’রা। তুলারামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের সভাপতি,মো:আবুল কাশেম ও সাধারন সম্পাদক অঙ্গত বিশ্বাস,সাংবাদিকদের জানান,রাতের আধারে কে বা কাহারা নদী ভরাট করছে আমরা জানি না,সকালে এসে দেখি নদী ভরাট করছে,নদী হারাচ্ছে নব্যতা,এবিষয়ে আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিত ভাবে জানাবো বলেও জানান। এসময় মুফাকরুল আমিন নদী দখলের কাজ কেন বন্ধ করে নাই জানতে তুলারামপুর ইউনিয়নের নায়েব আনন্দ মোহন দাস মুফাকরুলের মুঠোফোনে ফোন দিলে মুফাকরুল ফোন রিসিভ করেননি। কিছু সময় পরে মুফাকরুলের নদী দখলের জায়গায় সাংবাদিক’রা হাজির হলে,মুফাকরুল তুলারামপুর ইউনিয়নের নায়েব আনন্দ মোহন দাসকে মুঠোফোনে জানায়,সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে দেয়ার কথা ছিলো আপনার কিন্তু আপনি মেপে দেননি এজন্য আমি আমার জায়গায় মাটি দিয়ে ভরাট করছি,আপনি আপনার এসিল্যান্ডকে দিয়ে পারলে আমার কাজ বন্ধ করে দিতে বলেন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুফাকরুল বলেন, এসিল্যান্ড এখানে এসে দেখে আমাকে কাজ করতে বলেছে। এদিকে,নড়াইল সদর উপজেলার ৬ নং তুলারামপুর ইউনিয়নের তুলারামপুর মাইজপাড়া সড়কের পাশে নদীর পারে মাটি ফেলে নদীর জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে আলোচীত সমালোচিত আমিন মুফাকরুলের বিরুদ্ধে। ৭৯ নং তুলারামপুর মৌজার আর এস ১২৯৮ নং ক্ষতিয়ানের ৩০৬২ নং দাগে তার বাড়ি। উক্ত দাগে মোট জমি ২২ শতক,তার জমিতে বহুতল ভবনসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার পাশে মার্কেট রয়েছে। সরোজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়,মুফাকরুল আমিন নিজে দাড়িয়ে থেকে মাটি দিয়ে নদীর পাড় ভরাটের কাজ করছেন এবং বাইরের লেভার দিয়ে নদী ভরাট করছেন। নদীর পাড় ভড়াট করার কারন জিজ্ঞেস করলে তিনি নদীর মধ্যে বাঁশের খুটি দেখিয়ে বলেন,নদীর ঐ পর্যন্ত আমার যায়গা,এই পাকা রাস্তাও আমার যায়গায়,আমার যায়গা আমি ভড়াট করছি,তাতে কি সমস্যা? আমি কি অবুঝ,অসুস্থ যে সরকারি জমি দখল করব। এ বিষয়ে তুলারামপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে আর এস ম্যাপ পর্যালোচনা করে দেখা যায়,৩০৬২ দাগে ২২ শতক জমি মুফাকরুল তরফদারের নামে রেকর্ড হয়েছে এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের নামে রেকর্ড হয়েছে এক শতক। মুফাকরুল তরফদার নদী দখল করার উদ্দেশ্যে নদীর পাড় মাটি দিয়ে ভড়াট করছে,এ বিষয়ে কিছু জানেন কি না জানতে চাইলে তুলারামপুর ইউনিয়নের নায়েব আনন্দ মোহন দাস এ প্রতিবেদককে জানান,আমি ফোন করে তাকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলাম,সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে তার পরে কাজ করতে বলেছি কিন্তু কাজ বন্ধ রাখেনি। নদীর যায়গা ভড়াট করে দখল করার কারো কোন সুযোগ নেই,এ বিষয়ে আমার উর্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিত ভাবে জানাবো বলেও জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তুলারামপুর ইউনিয়নের একাধীক ব্যক্তি জানান,মুফাকরুল আমিন একজন পাকা জালিয়াত। অবৈধ ভাবে একপক্ষের থেকে টাকা নিয়ে আরেক পক্ষের সীমানায় খুটি পোতায় তার মূল কাজ। সম্প্রতি সে জালিয়াতি করে নদীর যায়গা নিজের মালিকানা দাবী করে ভড়াট করছে,আসলে ঐ যায়গা নদীর। কতৃপক্ষ বাধাঁ না দিলে এই যায়গা দখল করে ভবিষৎতে মার্কেট নির্মাণ করবে মুফাকরুল। মুফাকরুলের ভয়ে কেউ বাধা দিতে আসেনা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে আতাত করেই মুফাকরুল
এ কাজ করার সাহস পাচ্ছে,তা না হলে নদি দখল করে ফেলছে তবুও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন কর্তিপক্ষ বলেও মন্তব্য করেন। নদীর যায়গা অবৈধ ভাবে দখল করার জন্য তদন্তপূর্বক মুফাকরুল আমিনের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। এবিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) ট্রেনিংএ থাকায় তার সাক্ষাৎকার নেয়া সম্ভব হয়নি।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *