সুলতান মেলা সমাপনী’র মধ্যদিয়ে সুলতান পদক পেলেন,চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর

Uncategorized অন্যান্য

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৮তম জম্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলে ১৪ দিনব্যাপী সুলতান মেলায় এবারের সুলতান পদক-২০২২ পেয়েছেন চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর। সুলতান মেলা ২০২২ এর সমাপনী দিন অনুষ্ঠনের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর তালুকদারকে সুলতান পদক-২০২২ প্রদান করেন। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ সুলতান মঞ্চ চত্বরে মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ পদক প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য্য এমপি ভাচ্যুয়ালি যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস,নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজেরে অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.দোলন মিয়া প্রমূখ। শিল্পী শহিদ কবীর ১৯৪৯ সালের ২৬ অক্টোবর জম্মগ্রহণ করেন,তার সার্টিফিকেট নাম শহিদ কবীর তালুকদার। সুলতান পদক প্রাপ্ত চিত্রশিল্পী মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহিদ কবীর ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে (তৎকালীন ঢাকা গর্ভমেন্ট কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফট্স) থেকে বিএফএ-পাশ করে একই প্রতিষ্ঠানে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। বর্তমানে তিনি ফ্রিল্যান্স শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন। এ পর্যন্ত তিনি দেশে ও বিদেশে ১২টি একক চিত্র প্রদর্শনী ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যৌথ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করেছেন। তিনি দেশে ও বিদেশে ৭টিরও বেশী পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
১৪ দিনব্যাপী এ মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই,ঘোড়ার গাড়ি দৌড় প্রতিযোগিতা, কাবাডি,লাঠি খেলা,কুস্তি,ভলিবল,দড়ি টানাটানি এবং শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা,চিত্র প্রদর্শনী,রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়া প্রতিদিন শিল্পী এস এম সুলতানের জীবন দর্শন,শিল্পীসত্ত¡া ও কর্মময় জীবন নিয়ে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *