বিশ্ববিখ্যাত হুন্দেই বাংলাদেশে গাড়ি নির্মাণ নিয়ে আশাবাদী

Uncategorized আন্তর্জাতিক



অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ঃ বিশ্ববিখ্যাত হুন্দেই এর বাংলাদেশে গাড়ি নির্মাণ নিয়ে অনেকে বেশ আশাবাদী।
২০৪১ সালেই বাংলাদেশের ঘরে ঘরে গাড়ি থাকবে।আশা এবং আকাঙ্ক্ষা থাকা ভালো,তবে অতিরিক্ত উচ্চাশা দেশ এবং জাতির ভবিষ্যতের জন্য হানিকর।

ভারতেও লাখ টাকার টাটা ন্যানো আরো ১০ বছর আগে মধ্যবিক্তের ঘরে ঘরে গাড়ি পৌছে দেয়ার স্বপ্ন দেখেছিল।মজার বিষয় হল সে টাটা ন্যানোই হারিয়ে গেছে।

অন্যদিকে,বাংলাদেশ নব্য উদীয়মান দেশ হলেও মনে রাখতে হবে মূল্যস্ফীতির এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতেই আছে বাংলাদেশের মধ্যবিক্ত সমাজ।
বিশ্বব্যাপী জ্বালানী তেলের দামের অস্থিরতা কিংবা রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ,সব কিছুর ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশ।

চীন এবং রাশিয়ার ইলেকট্রিক গাড়ি নির্ভর ভিশন এবং তেল দ্বারা চলমান গাড়ি ২০৩৫-২০৪০-২০৫০ সালের মধ্যে নিষিদ্ধের ভিশন থাকলেও বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন দেখছে ২০৪১ সালের মধ্যে তেল চালিত গাড়ি ঘরে ঘরে পৌছে দেবে?আসলে এর পলিসি টা কি?

মন্ত্রী পার্লামেন্টের এম পি বৃন্দরা সাংবিধানিকভাবে সংসদে জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন।সে প্রতিনিধিত্ব সেসব ক্ষেত্রে ভাল মত যেসব ক্ষেত্রে লং টার্ম ভিশনারী প্লান হাতে নেয়া থাকে।

যেমন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর নির্মাণের ও আগে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে গাড়ি এসে ঢাকা ঢোকার মত ব্যবস্থা ইঞ্জিনিয়ারিং টিমকে রাখতে বলেছিলেন।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইওয়ের অবস্থা জঘন্য। অন্যদিকে বি আর টি এ হয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া সহজ।ড্রাইভিং স্কিল এবং ট্রাফিক আইন মানা নিয়ে দেশে সচেতনতা নেই।লরি,বাসের মত যানবাহন এর জন্য আলাদা লেন নেই,রাস্তার ভাংগাচুড়ো অবস্থায় ২০ বছর পরে ট্রাফিক জ্যাম বাড়বে না কমবে তার হিসেব করে ২০৪১ সালে ঘরে ঘরে গাড়ি পৌছানো নিয়ে চিন্তা করা উচিত।

প্রগতির এসেম্বল করা গাড়ি যেখানে সাধারন জনতার নাগালের বাইরে,অন্যদিকে প্রোটনের বানানো গাড়ি পিএইচপি গ্রুপ কি পরিমান হারে সেল করছে তাতেও প্রশ্ন রয়েছে।এরই মাঝে ২০৪১ সালে ঘরে ইলেকট্রিক কার,বাইক না পৌছিয়ে,গাড়ি ক্রয়ে ৪০০% ট্যাক্স রেখে রাস্তায় রাস্তায় তেল চালিত গাড়ি নামানোর ঘোষনা দেয়া স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের পরিপন্থি।
স্মার্ট বাংলাদেশ হবে প্রযুক্তিনির্ভর এবং গ্রীন এনার্জি নির্ভর।যেখানে বিদ্যুত নির্ভর মেট্রো রেল চালু হয় সেখানে হুন্দেই এবং অন্যান্য কর্পোরেশন গুলোর দেশে ইলেকট্রিসিট নির্ভর গাড়ি,মোটরবাইক ডিজাইন এবং বিপনন করা উচিত।সোলার এনার্জি নির্ভর ইউনিভার্সাল ইভি চার্জিং স্টেশন দেশে আরো সহজলভ্য করা উচিত।

রাস্তাঘাটের উন্নয়ন,ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়েও আরো ভাববার অবকাশ আছে।বাংলাদেশ মাত্র প্রযুক্তির বেসিক টেকনলোজি এডাপ্ট করেছে,সে বাস্তবতাগুলোও মাথায় রাখা উচিত।

ওয়ালটন,আকিজ গ্রুপ কিছু ইভি এডাপ্ট করছে,যার ডিজাইন লাইন আপ কোনভাবেই ইউজার ফ্রেন্ডলি না।দেশের হাজারো সমস্যা বাদ রেখে ঘরে ঘরে গাড়ি না করে,বরংচ পাবলিক ট্রাভেল সহজ করা,বি আর টি সি কে শক্তিশালি করা উচিত,এরপর দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটলে ঘরে ঘরে গাড়ি দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করা উচিত। (তথ্য সুত্রঃ ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম)


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *