গণতন্ত্র সূচকে দেশের অগ্রগতি বিএনপির সমালোচনাকে অসার প্রমাণ করেছে-তথ্যমন্ত্রী

Uncategorized জাতীয়


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রোববার ৫ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে দেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপি ও তাদের দোসরদের সমালোচনাকে অসত্য ও অসার প্রমাণ করেছে বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রোববার বিকেলে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘প্রতিদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব এবং বিএনপি ও তাদের জোটের বিভিন্ন দলের নেতারা বক্তৃতা করে বেড়ান- এ দেশে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন। তারা যখন প্রতিদিন এই কথাগুলো বলে বেড়াচ্ছেন, টেলিভিশনের পর্দা গরম করছেন, জনসভায় মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছেন, দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন, তখনই গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) যে গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করেছে সেখানে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়ে ৭৩তম স্থানে উন্নীত হয়েছে।’

২০১৮ সাল থেকে প্রতি বছর গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৮৮তম, ২০১৯ সালে ৮০তম, ২০২০ সালে ৭৬তম, ২০২১ সালে ৭৫তম এবং ২০২২ সালে ৭৩তম স্থানে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ বিএনপি নেতারা যে বক্তব্যগুলো রাখেন সেগুলো যে মিথ্যা অসার, সেটিই এই রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরো সংহত হতো, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের সূচকে আরো কয়েক ধাপ উন্নীত হতো যদি বিএনপির সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগ এই অপরাজনীতি যদি না থাকতো। কারণ গণতন্ত্রকে দৃঢ় ও সংহত করার দায়িত্ব যেমন সরকারি দলের, তেমনই বিরোধী দলেরও দায়িত্ব, সে বিরোধী দল সংসদে থাকুক কিম্বা না থাকুক। গণতন্ত্রকে সংহত করা, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চা করা, সেটি সমস্ত রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত দায়িত্ব। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে সুসংহত হয়েছে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা বিস্তৃত হয়েছে সেটির বহিপ্রকাশ হচ্ছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এই রিপোর্ট।’

জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির পত্রলেখা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব এই সমস্ত রিপোর্টকে অস্বীকার করেছিলেন। পরে মির্জা ফখরুল সাহেব স্বীকার করেছেন। এ ধরণের চিঠি বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে লেখা সেটি শুধু জাতির জন্য, দেশের জন্যই অমঙ্গলজনক নয়, এটি দেশদ্রোহিতার শামিল। মির্জা ফখরুল সাহেবের চিঠির ভাষা যদি তাই হয় যে, জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাহলে বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করা সেটিই গণতন্ত্র কি না বিএনপির কাছে সেটিই আমার প্রশ্ন।’


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *