নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রথম মেট্রো রুট এমআরটি-৬ চতুর্থ স্টেশন হিসেবে চালু হয়েছে উত্তরা সেন্টার স্টেশন। সকাল ৮টা থেকে যাত্রী চলাচল শুরু হয়েছে এ স্টেশন দিয়ে।
প্রথম দিনে যদিও ভিড় ছিল না এ স্টেশনটিতে। উত্তরা সেন্টার স্টেশন এলাকায় মানুষের বসবাস কম থাকায় দর্শনার্থী ছাড়া সাধারণ যাত্রীদের আনাগোনা ছিল কম। গতকাল
শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি, উত্তরা সেন্টার স্টেশন সরেজমিনে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
মেট্রোরেলে চড়া একাধিক যাত্রী বলেন, মেট্রোরেলে ঘুরতে এসেছি। এতে চড়ে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।
খুব কম সময়ে চলাচলের জন্যে মেট্রোরেল ভালো মাধ্যম।
অপর যাত্রী শাহেদ রায়হান বলেন, এ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাস করি। কিন্তু বাস বা অন্য গণপরিবহন ব্যবস্থা ভালো ছিল না। মেট্রোরেল হওয়ায় যাতায়াতে সুবিধা তৈরি হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে উপ-প্রকল্প ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, উত্তরা সেন্টার স্টেশনটি আজকে চতুর্থ স্টেশন হিসেবে চালু করা হয়েছে। যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় ধীরে ধীরে সব স্টেশন খুলে দেওয়া হচ্ছে। এরপরে আগামী ১ মার্চ থেকে জনবহুল এলাকা মিরপুর-১০ স্টেশন যাত্রী চলাচলের জন্যে খুলে দেওয়া হবে এমআরটি-৬ এর পঞ্চম স্টেশন হিসেবে।
প্রসঙ্গপূর্বক উল্লেখ্য, ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল যেটা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এ প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে। ২৮ ডিসেম্বর এ পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেট্রোরেলের দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।
এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তখন সর্বোমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ও সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
