পিংকি জাহানারা : খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ’র ওপর রোগীর স্বজন কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ’র ওপর রোগীর স্বজন কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে বেলা ১২ টায় সাত রাস্তা মোড়স্থ বিএমএ ভবনের কাজী আজহারুল হক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করাকালীন ডাঃ শেখ বাহারুল আলম জানান,,গত ২৫ ফেব্রুয়ারী, খুলনা মহানগরীর শেখ পাড়ায় অবস্থিত হক নার্সিং হোমে অপারেশন চলা কালীন হামলা করে রোগীর স্বজন নামধারী সন্ত্রাসীরা।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শেখ নিশাত আব্দুল্লাহকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত করে এবং তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়।শুধু তাই নয় তিনি একজন মুমূর্ষ রোগীর অপারেশন করছিলেন সেখান থেকে ১ মাস পূর্বে অপারেশন করা রোগীর জটিলতার ওজুহাতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ কর্মরত এ এস আই নাঈম ও তার সঙ্গীরা তাকে জোর জবরদস্তি করে অপারেশন মাঝপথে বন্ধ করে দেয় এবং তার ওপর পৈশাচিকভাবে ঝাপিয়ে পড়ে এবং শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে।
সংরক্ষিত প্রবেশ অধিকারের নিরাপদতম স্থান অপারেশন থিয়েটার ভাংচুর করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমরা যখন আপনাদের সামনে সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলছি তখন আমাদের সহকর্মী ডাঃ শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কেবিনে শারীরিক ও মানষিক অস্বস্তিতে বেঁচে আছে।
বহুবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আমলাদের বোঝানো হয়েছে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ (সরকারি বেসরকারি) ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় নিরাপত্তা বিধান করা প্রয়োজন। কখনোই কর্ণপাত করেননি এবং কোনো কর্তৃপক্ষ।
বরং চিকিৎসকদের উপর নেমে এসেছে নতুন নতুন খরগ।
এবার ঘটেছে আরো মারাত্মক ভয়ানক ঘটনা। আইনের রক্ষক পুলিশের (পোশাক পরিহিত) একজন এ এস আই (নাঈম) ও তার সঙ্গীরা চিকিৎসকের উপর ঝাপিয়ে পড়ে হত্যা করার চেষ্টা করছে।
সভ্য সমাজে এই ধরণের পৈশাচিক ঘটনা বিরল।
দীর্ঘ তিন ঘন্টা যাবৎ একজন চিকিৎসককে আটক রেখে উপহাস করা হয়েছে।
বিভৎস ভাষায় গালি গালাজ আর নগ্ন আচরণের বর্ণনা শুনলে গা শিউরে ওঠে।
সেই ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছে খুলনার হক হোম আর নির্বিকার অসহায়ভাবে চিকিৎসক সহ্য করেছেন সেই বর্ণনাতীত নির্যাতন।
