সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা ক্রমান্নয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে, জীবন শঙ্কামুক্ত। আশা করি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তার শরীরের অবস্থা স্বাভাবিক হবে। তারপর বাইপাস সার্জারি করা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ সময় শিগগিরই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে সেতুমন্ত্রী নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন হানিফ।
এর আগে মঙ্গলবার সকালের দিকে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুর থেকে জানান আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
তিনি জানান, ‘সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। সোমবার হাসপাতালে পৌঁছানোর পরপরই সেখানকার চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা শুরু করেন। জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে তার শরীরে কিছু সংক্রমণ রয়েছে। পাশাপাশি কিডনির সমস্যা পাওয়া গেছে। তবে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন নেই।’
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলোজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. ফিলিপ কোহের তত্ত্বাবধানে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা চলছে। আইসিইউ ৩০০৮ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন ওবায়দুল কাদের।
রোববার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বুকে ব্যথা অনুভব করলে ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। পরে এনজিওগ্রাম শেষে ওবায়দুল কাদের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।
অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠীর পরামর্শে গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয় ওবায়দুল কাদেরকে।