বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’– আমির হোসেন আমু

Uncategorized অন্যান্য


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ১৯২০ থেকে ১৯৭৫। ৫৫ বছরের সংগ্রাম পুরোটাই এক মহাকাব্য, যেই কাব্যের ধারাবাহিকতায় কখনো ছয় দফা, কখনো তর্জনী উঁচু ঘোষণা, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কিংবদন্তি বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ত্রো যথার্থই বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি।

ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়ের মতো।’ শতবর্ষ পেরিয়ে আজও বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার জন্মদিনে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণ নিয়ে কথা বলেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক আমির হোসেন আমু।

বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও সাংগঠনিক কর্ম তৎপরতায় একদিকে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে পাকিস্তানের শাসন, শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষকে সংঘবদ্ধ করেছেন; অন্যদিকে দলের প্রচার-প্রচারণা ও আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা-সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনিই ছিলেন বাঙালির আস্থা ও বিশ্বাসের একমাত্র ঠিকানা।

বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করতেন। হেঁটে, গরুর গাড়িতে চড়ে সারাদেশ ঘুরে তিনি সংগঠন গড়েছিলেন।

তিনি যেখানে যেতেন সেখানকার দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর আর্থিক অবস্থা কেমন তা জেনে নিতেন। সে তথ্য খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। যখন যেভাবে পারতেন নেতাকর্মীদের সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। তার কাছে কেউ কখনো কিছু চেয়ে খালি হাতে ফেরেনি।

বাংলাদেশকে কীভাবে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবেন সে ভাবনায় নিজেকে সর্বক্ষণ নিয়োজিত রাখতেন।

১৯৭৪ সালেই তিনি সমুদ্রসীমার রূপরেখা দিয়ে গেছেন। কক্সবাজারকে পর্যটনকেন্দ্র করা, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক নির্মাণ, এফডিসি স্টুডিও প্রতিষ্ঠা, পরিকল্পনা কমিশন গঠন, ওয়াপদা প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তার ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যায়।

বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন ছিল একটি আত্মনির্ভরশীল সমৃদ্ধ জাতি। সেই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আর এ কারণেই আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ রূপান্তরিত হয়েছে উন্নয়নের বাংলাদেশে, পদার্পণ করেছে উন্নয়নশীল দেশে। এই সাফল্য নিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

যেহেতু বিগত দিনে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ, সেটি বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা অত্যন্ত সফল হয়েছেন। আগামীতেও জাতি আশাভঙ্গ হবে না। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *