নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) তার দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২২,৫০০ প্যাকেট বিদেশী সিগারেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
জানা গেছে, বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৮ হতে আনুমানিক ০৩ কিঃ মিঃ উত্তর দিকে কাটাখাল এলাকা দিয়ে চোরাচালান মালামালের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে পারে।
তথ্য প্রাপ্তির সাথে সাথে ব্যাটালিয়ন সদর হতে একটি বিশেষ টহলদল এবং অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি’র একটি টহলদল উল্লেখিত জায়গায় গিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। সীমান্তের শূণ্য লাইন হতে ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাটাখাল এলাকা দিয়ে আনুমানিক ৭০ থেকে ৮০ জন চোরাকারবারী মাথায় বস্তা নিয়ে মায়ানমার হতে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে। টহলদল উক্ত চোরাকারবারীদের দেখা মাত্রই চ্যালেঞ্জ করে তাদের দিকে অগ্রসর হয়।
উক্ত সময় চোরাকারবারীরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তাদের বহনকৃত বস্তাগুলো ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত ছত্রভংগ হয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম এবং সাঁতার দিয়ে মায়ানমারে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল উল্লেখিত স্থান তল্লাশী করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া বস্তার ভিতর হতে ২২,৫০০ প্যাকেট বিদেশী সিগারেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, জব্দকৃত মালিকবিহীন বিদেশী সিগারেট টেকনাফ শুল্ক কার্যালয়ে জমা করা হয়েছে।