নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার ৮ এপ্রিল, বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) তার দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
গতকাল শনিবার ৮ এপ্রিল, রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১০ হতে আনুমানিক ৫০০ মিটার উত্তর-পূর্ব দিকে আদমের জোড়া নামক স্থান দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে লেদা বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদল বর্ণিত স্থানে গমন করতঃ কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
আনুমানিক সকাল সাড়ে ৫ টার সময় টহলদল ৩/৪ জন ব্যক্তিকে কর্কশিট দ্বারা তৈরীকৃত ভেলায় করে মায়ানমার হতে নাফ নদীর শূন্য লাইন অতিক্রম করে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বেড়ীবাঁধের দিকে আসতে দেখে।
এ সময় টহলদল উক্ত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করলে সংঘবদ্ধ মাদক কারবারীদল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে টহলদল তাদের মধ্য হতে রফিক মিয়া (১৯), পিতা-আঃ রহিম, গ্রাম-নয়াপাড়া, পোস্ট-রঙ্গিখালী হ্নীলা ইউপি, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার নামক একজন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
অপর মাদক কারবারীরা দ্রুত নাফ নদীতে লাফ দিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আটককৃত মাদক কারবারীর নিকট রক্ষিত একটি প্লাস্টিকের বস্তা হতে ২০,০০০ (বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, আটককৃত মাদক কারবারীকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।