ডিএমপির কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থায় নির্বিঘ্নে শেষ হলো বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা

Uncategorized অন্যান্য


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বাংলা নববর্ষ ১৪৩০-কে স্বাগত জানিয়ে নির্বিঘ্নে শেষ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের স্লোগান ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’। শোভাযাত্রার সময় ডিএমপির কঠোর নিরাপত্তার ছিল পুরো এলাকায়।

গতকাল শুক্রবার(পহেলা বৈশাখ) সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে এটি শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।

শোভাযাত্রাকে ঘিরে গত বৃহস্পতিবার ১৩ এপ্রিল, রাত থেকেই টিএসসিসহ পুরো ক্যাম্পাস এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সবখানে মোতায়েন ছিল ডিএমপির বিপুলসংখ্যক সদস্য।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম সকালে শোভাযাত্রাসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
গতকালের শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে।

গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন মুখোশ, পেঁচা, ঘোড়া, মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়। পরে ঠিক সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। মাহে রমজানের পবিত্রতার কথা মাথায় রেখে বাঁশি, ভুভুজেলা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ঢোলের শব্দও সীমিত রাখা হয়েছে।

এর আগে ভৈরব সুরে শুরু হওয়া ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪৩০–এর অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে।

গতকসল শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছায়ানটের শিল্পীরা এবারের আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এদিন ভোর ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে শুরু হয় বাংলা ১৪৩০ সালকে বরণ করে নেওয়ার এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *