নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এইচ.ই. রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গতকাল সোমবার ২৪ এপ্রিল, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বিদায়ী ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে তার প্রচেষ্টা ও অবদানের জন্য অভিনন্দন জানান।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার ৬ মে ২০২৩ লন্ডনে তাদের মহামান্য রাজা চার্লস ৩ এবং যুক্তরাজ্যের রানী ক্যামিলার রাজকীয় রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
উভয় পক্ষ বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়মিত আদান-প্রদান, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য যুক্তরাজ্যের নতুন অগ্রাধিকারমূলক ট্রেডিং স্কিম, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু চুক্তি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, উচ্চ শিক্ষায় সহযোগিতা, ত্রিনয়ন বিমান চলাচলসহ পারস্পরিক স্বার্থ ও উদ্বেগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।
ঢাকায় শীর্ষ সম্মেলন, বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক, বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন, ইউক্রেনে যুদ্ধ ইত্যাদি।
পররাষ্ট্র সচিব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের, বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়প্রাপ্ত, তাদের মাতৃভূমি মায়ানমারে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
বিদায়ী ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশে তার মেয়াদকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে সহায়তা পেয়েছেন তার জন্য পররাষ্ট্র সচিবকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে নতুন ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উচ্চতর গতিপথে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।