নাজমুস সাকিবের ধর্ষণের শিকার সেই ছোট্ট শিশুটি এখন বাকপ্রতিবন্ধী

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

মারুফ সরকার :  রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় ২০১১ সালে পাঁচ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল দেশজুড়ে। কেমন আছে সেই ছোট্ট শিশুটি? খোঁজ করতে গিয়ে জানা গেল, ওই ঘটনার পর কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে ভিকটিম। বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েটির এখন নির্মম জীবনযুদ্ধ। আর, সেই ধর্ষক নরপিশাচ নাজমুস সাকিব আয়েশী জীবন কাটাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।


বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে জানা যায়, আইনের আশ্রয় নিলেও বিচার পায়নি ছোট্ট শিশুটি। অর্থের বিনিময়ে শিশুটির বাবার মুখ বন্ধ করতে চেয়েছিল ধর্ষকের পরিবার। কিন্তু ভুক্তভোগীর পরিবার বিচার ছাড়া আর কিছু চায়নি। মামলাও করেছিলেন তারা। তবে ধর্ষক নাজমুস সাকিব ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাবশালী জলিলুল আজমের ছেলে হওয়ায় পার পেয়ে গেছেন।


বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর বাসাবোর সবুজবাগ এলাকার ২৮ নম্বর মায়াকাননের পেছনে ৩টি বাড়ির পর একটি টিনশেডের ঘরে পরিবারের সঙ্গে থাকতো শিশুটি। পিতা সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাচ্ছিলেন। ঘটনার দিন ফুটফুটে ছোট্ট শিশুটিকে চকলেটেরে লোভ দেখিয়ে ২৮ মায়াকাননে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান মাদকাসক্ত নাজমুস সাকিব।এরপর ছাদে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে নিচতলার গ্যারেজে রেখে পালিয়ে যান নাজমুস সাকিব।

এরপর শিশুটির কান্নাকাটির শব্দ শুনে এগিয়ে আসেন বাড়ির কেয়ারটেকার বাচ্চু মিয়া। শিশুটির করুণ অবস্থা দেখে তার চিৎকারে জড়ো হন এলাকাবাসী। পরে শিশুটি পুরো ঘটনা জানান।   এ ঘটনার পর নাজমুস সাকিবের বাবা জলিলুল আজমমহ শিশুটির বাবা মিলে তাকে প্রথমে মুগদা হাসপাতালে নেন। শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে মুগদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করে। সেখানে প্রায় ২৮ দিন চিকিৎসার পর প্রাণে বেঁচে গেলেও শিশুটি হয়ে পড়ে বাক প্রতিবন্ধী।

ধর্ষণের শিকার, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলে শিশুটি। সে সময় বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য নাজমুস সাকিবের মামা আবু দায়ান ও বাবা জলিলুল আজম মেয়েটির পরিবারকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু শিশুটির বাবা টাকা না নিয়ে বিচার চান।

নাজমুস সাকিবের প্রভাবশালী বাবা ও মামার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সবুজবাগ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। মামলার পর কিছুদিন আত্মগোপনে থাকেন নাজমুস সাকিব। তিনি এখন দেশ ছেড়ে থিতু হয়েছেন আমেরিকায়। সেখানে বসে কথিত নাগরিক টিভিতে বিভিন্ন মিথ্যা ও গুজব ছড়ানোর কাজ করছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *