ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর ওয়ার্ড মাস্টারেট বিরুদ্ধে আউট সোর্সিং লোক নিয়োগের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ আদায় করার অভিযোগ সহ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া স্কুলের উন্নয়ন বাবদ সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

Uncategorized আইন ও আদালত


!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট কর্তৃক ৫টি অভিযোগের বিষয়ের মধ্যে ২ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া চরতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্কুলের উন্নয়ন বাবদ সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

এনফোর্সমেন্ট টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র এবং ভাউচারের কপি সংগ্রহ করে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় বরাদ্দপত্র/বাজেটের সাথে ব্যয়ের অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়নি মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয় ।


ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা আত্মসাধের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, জেলা কার্যালয়, ফরিদপুর হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয় অভিযান পরিচালনা কালে হাসপাতেলের প্রত্যেকটি বিভাগে কর্মরত পরিছন্নকর্মী,ওয়ার্ডবয়,আয়া,নিরাপত্তা প্রহরী ও সেবা প্রার্থীদের বক্তব্য শ্রবণ করা হয়।

তাদের বক্তব্য থেকে জানা যায় , ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ডমাস্টার পরিছন্নকর্মী, ওয়ার্ডবয়, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে নগদ টাকা গ্রহন করেছেন। হাসপাতালটি পরিদর্শন শেষে ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ডমাস্টার এর রুম তল্লাশি করে বেশ কিছু ফাইল পাওয়া যায়।

এ ফাইলগুলোর মধ্যে একটি ফাইলে বেশ কিছু আবেদনকারীর ব্যাক্তিগত তথ্য সম্বলিত ফাইলের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এই আবেদনকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং বলেন টাকাগুলো তিনি গাল্ফ সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রা) লিমিটেড এর কর্মকর্তাদের দিয়েছেন কিন্তু তারা টাকা নিলেও তার দেওয়া আবেদনকারীদের নিয়োগ দেয়নি। তিনি এখন ব্যাক্তিগত টাকা দিয়ে তাদের টাকা পরিশোধ করেছেন।

একটি ফাইলে বেশ কিছু বিনা বেতনে কাজ করার অঙ্গিকারনামা পাওয়া গেলে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান , প্রায় ৯০ জন কর্মচারী বিনা বেতনে কাজ করছেন।

মূলত এই বিনা বেতনে কর্মরত কর্মচারীরা হাসপাতালটির টলি ভাড়া ২০০ টাকা রুগীদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে। তারা মর্গের মৃত লাশ গ্রহনকারী স্বজনদের কাছ থেকে চার হাজার বা পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে থাকে। এরাই আবার রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যায়।

সাম্প্রতিক আউটসোসিং এ নিয়োগ প্রাপ্ত প্রথম শিফট এ কর্মরত অধিকাংশই স্বীকার করেন তাদের নিয়োগ পেতে গালফ সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রা) লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানকে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হয়েছে । এখন আবার তাদের পাওনা বেতন না দিয়ে টাকা দাবী করছে।

দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের নিকট অভিযান পরিচালনা কালে ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার এর বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে সত্য মর্মে প্রতিয়মান হয়েছে ।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *