ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ময়মনসিংহের নান্দাইল ইউনিয়ন এর ইউপি সদস্য, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জামালপুর পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসারে বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

Uncategorized আইন ও আদালত


!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে ৬টি অভিযোগের বিষয়ের মধ্যে ৩ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছে !!



নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ঢাকা জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমপিও সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিও’র ফাইল আটকিয়ে ঘুস দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।অভিযান পরিচালনাকারী টিম জেলা শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় উপ পরিচালককে অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করে এবং এমপিও ভুক্তির নথিপত্র চাওয়া হয়।

আজকে শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও ভুক্তকরনের সর্বশেষ তারিখ হওয়ার পরেও নথি ঘেঁটে এখনো অনেক এমপিও ভুক্তকরন সংক্রান্ত ফাইল পেন্ডিং অবস্থায় দেখা যায়। এছাড়া দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের তিনজন কর্মচারী পালিয়ে যায়। এছাড়াও কার্যালয়ে উপস্থিত কিছু শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে কথা বলে টিম।

ময়মনসিংহের নান্দাইল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও খারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে নদের প্রবাহ আটকে মাছ চাষ করার অভিযোগ সংক্রান্তে দুদক, জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহ হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা কালে দেখা যায় বর্নিত জলাশয় ব্রাহ্মপুত্র নদের পুরাতন ধারা যা জলমহালে পরিনত হয়েছে। নদের মূল ধারা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জলাশয় হতে ২০০/৩০০ মিটার দুরে।

অভিযোগ স্থানটি বদ্ধ জলাভূমি।অভিযান পরিচালনা কালে স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় হাটশিরা মৌজায় চরকালিবাড়ী সংলগ্ন নদীতে বাঁশ ও জাল দিয়ে মাছ চাষ করতো।

অভিযান পরিচালনা কালে নদীতে জাল ও বাঁশ দ্বারা বাঁধ নির্মান করে মাছ চাষের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে ১৮ মার্চ ২৩ তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নান্দাইল এর নির্দেশ মোতাবেক উক্ত জাল অপসারন করা হয়েছে।
জামালপুর ইসলামপুর পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কৃষকদের সেচ লাইনের ফাইল আটকিয়ে ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, জামালপুর হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা কালে টিমের সদস্যরা পল্লী বিদ্যুৎ, জোনাল অফিস, ইসলামপুর, জামালপুর এ উপস্থিত হয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও অন্যান্য কর্মকর্তা – কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান যে, ২৪০০ টাকা সরকারি জামানত এবং ৫০ টাকা সদস্য ফি এর বিনিময়ে তারা সেচ সংযোগ দিয়ে থাকেন।

পরবর্তীতে, টিম সেচ সংযোগ সংক্রান্ত কয়েকটি ফাইল থেকে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান যে, নির্ধারিত ফি মোট ২৪৫০ টাকার অতিরিক্ত কোন অর্থ তাদের প্রদান করতে হয় না। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সেচ সংক্রান্ত ফাইল পর্যালোচনা করে টিমের নিকট অভিযোগটি সঠিক বলে প্রতীয়মান হয় নি।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *