মারুফ সরকার : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে বাজেটে এমন ঘোষণা চেয়েছে বাংলাদেশে কংগ্রেস। গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন বলেছেন, প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার সময় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হয় এবং একবার দাম বাড়লে তা আর কমে না। এবারকার বাজেট ঘোষণার ফলে দ্রব্য মূল্য যাতে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে নজর রাখতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, বাজেট হতে হবে দরিদ্র বান্ধব। বাজেটে কোন প্রকারেই যেন ধনীদেরকে আরো বেশি ধনী হওয়ার সুযোগ করে দেয়া না হয়। অলস প্রকল্পের চেয়ে উৎপাদনমুখী ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী বাজেট প্রনয়ণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশী-বিদেশী ঋণের বোঝা বাড়িয়ে বিশাল অংকের বাজেটের কোন যৌক্তিকতা নেই। বাজেটে প্রকল্প কম রাখার জন্য আহবান জানান তিনি।
এ্যাডঃ ইয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর জাতীয় বাজেটের বড় একটা অংশ বিদেশে পাচার হয়ে যায়। জনগণ শুধু বাজেটের ঘোষণা শোনে, কিন্তু কোন্ খাতে কত টাকা বরাদ্দ হয় এবং কত টাকা খরচ হয় তার কোন হিসাব জনগণকে জানানো হয় না। সেজন্য প্রকল্পভিত্তিক আয়-ব্যয়ের চিত্র জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
জাতীয় বাজেটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বরাদ্দ রাখার আহবান জানানো হয় বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের জন্য কাজ করে, জনগণের পক্ষে কথা বলে, সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রাখে। সেজন্য জনগণের স্বার্থে দলগুলোকে টিকিয়ে রাখা দরকার। কিন্তু দলের নিবন্ধনের যে সকল শর্তারোপ করা হয়েছে তা প্রতিপালন করা অনেক ব্যয়বহুল যা অধিকাংশ দলের সামর্থ্যের বাইরে। সেজন্য সরকারের উচিত শর্ত সাপেক্ষে বাজেটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বরাদ্দ রাখা।