রাজধানীর  শ্যামপুর, কদমতলী, দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ ও দোহার এলাকায় র‍্যাবের মোবাইল কোর্ট কর্তৃক  ২৯ লাখ টাকা জরিমানাসহ নকল- ভেজাল সামগ্রী  জব্দ ও ধ্বংস 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ   রাজধানীর  শ্যামপুর, কদমতলী, দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ ও দোহার এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, বৈদ্যুতিক ফ্যান, রাসায়নিক পদার্থ, প্রসাধনী ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের মোবাইল কোর্টে   ২৯  লাখ  টাকা জরিমানা আদায়, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছ,    গতকাল বুধবার  ২১ জুন, র‌্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র‌্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা  করে।

এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত মোবাইল কোর্টে  উল্লেখিত এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, বৈদ্যুতিক ফ্যান, রাসায়নিক পদার্থ, প্রসাধনী ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২৯,০০,০০০  (ঊনত্রিশ লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। যার মধ্যে ইওকো ফুড এন্ড এগ্রো লিমিটেডকে নগদ- ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) টাকা, জামাল ফুড প্রোডাক্টসকে নগদ- ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা, মেসার্স মাহিন (রামাই) পেইন্ট এন্ড বার্নিশকে নগদ- ৩,০০,০০০  (তিন লক্ষ) টাকা, আপন গুড ফুড লিমিটেডকে নগদ- ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, চাঁদনী ক্যাবল কোঃকে নগদ- ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, আয়শা ইলেকট্রিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজকে নগদ- ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা, এস কে ক্যাবল্সকে নগদ- ২,০০,০০০  (দুই লক্ষ) টাকা, মামা ভাগিনা ইন্ডাষ্ট্রিজকে নগদ- ১,০০,০০০  (এক লক্ষ) টাকা, ফ্রেশকো কসমেটিক্সকে নগদ- ৬,০০,০০০ (ছয় লক্ষ) টাকা, ভূইয়া হারবাল কোম্পানী লিমিটেডকে নগদ- ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা, মা কোপার ওয়ার লিমিটেডকে নগদ- ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) টাকা ও ডি এন ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডকে নগদ – ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত ০১ লক্ষ টাকা মূল্যের অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, বৈদ্যুতিক ফ্যান, রাসায়নিক পদার্থ, প্রসাধনী ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, বৈদ্যুতিক ফ্যান, রাসায়নিক পদার্থ, প্রসাধনী ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *