চার বছরে দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ

এইমাত্র সারাদেশ স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাত্র ৪ বছরের ব্যবধানে এইচআইভি শনাক্তের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ। সেবাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়লেও উল্টো বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যাও। বিদেশ ফেরত কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কড়াকড়ি না থাকায় আক্রান্তরা বহুগুণে আক্রান্ত করছে পরিবার প্রিয়জনদের। সর্বোপরি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীসহ সর্বসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই এইচআইভি সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বিদেশ ফেরত স্বামী এইডস আক্রান্ত হয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন কবেই। আক্রান্ত স্ত্রী মৃত্যুকে পাহারা দিতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে মাঝে মাঝেই ছুটে আসেন ঢাকার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে।
এইডস আক্রান্ত ওই নারী বলেন, এক ছেলে, এক মেয়ে আছে। ওদের এখনো পরীক্ষা করানো হয়নি। ওদের পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে।
ইতিমধ্যে সারাদেশে ১২টি কেন্দ্রে সেবা দেয়া হলেও পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার আশায় ঢাকাতেই ছুটে আসেন অধিকাংশরা। তবে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট নন রোগীরা।
এক রোগী বলেন, চোখের সামনে আমরা মারা যাচ্ছি, আমাদের জন্য আইসিইউ’র ব্যবস্থা করা দরকার।
আরেকজন বলেন, এখানে জরুরি বিভাগ নেই। রাতে ডাক্তারও পাওয়া যায় না।
সরকারি তথ্য মতে, দীর্ঘ ২৮ বছরে শনাক্ত হয়েছে আক্রান্তের অর্ধেক জনগোষ্ঠী। যৌনকর্মী, শিরায় মাদকগ্রহনকারীসহ লুকিয়ে থাকা আক্রান্তদের দ্রুত খুঁজে বের করতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবার আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
বিএসএমএমইউ’র ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে এই ধরনের রোগী বেশি আসছে। আমরা তাদের উৎসাহিত করতে পারি যে, আপনারা আসেন, বিনামূল্যে এইচআইভি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এইচআইভি বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ আহসান তৌহিদ বলেন, রোগ সনাক্ত হওয়ার সাথে সাথেই আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং সারা জীবনের জন্য।
সমস্যা সমাধানে কয়েকটি মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত এক বছরে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চারশ’ জনের রক্ত পরীক্ষা করে ৮৪ জনকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এদের ৮০ শতাংশই বিদেশফেরত কর্মী। তাই বিদেশফেরত প্রত্যেক কর্মীর এইচআইভি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *