নির্বাচন কমিশনের অন্তর্কোন্দল চরমে

এইমাত্র জাতীয়

সিইসির বিরুদ্ধে একাট্টা ৪ কমিশনার

 

 

বিশেষ প্রতিবেদক : আধিপত্যের দ্বন্দ্বে চরমে উঠেছে নির্বাচন কমিশনের অন্তর্কোন্দল। একক সিদ্ধান্তসহ নানা অভিযোগ তুলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন অন্য চার নির্বাচন কমিশনার। তাদের অভিযোগের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানান সিইসি।
বারবার নোট অব ডিসেন্ট আর কমিশন সভা বর্জন করে সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে বরাবরই অবস্থান ছিল কমিশনার মাহবুব তালুকদারের। এবার পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। মাহবুব তালুকদার এবং অন্য তিন নির্বাচন কমিশনার এক হয়ে অবস্থান নিয়েছেন স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, অর্থ বরাদ্দ, বাজেট নির্ধারণ, কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানো এবং নিয়োগ-প্রশিক্ষণ কোনো কিছুই জানানো হচ্ছে না চার কমিশনারকে।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনে বলা আছে ব্যয়ের চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ হবে কমিশন। ৩শ’ এর উপর কর্মচারী নিয়োগ হলো সে ব্যাপারে জানলামও না। অনেক বিষয় আছে যেগুলো আমরা জানি না।
সম্প্রতি সিইসির বিরুদ্ধে আন অফিসিয়াল নোট দেন চার নির্বাচন কমিশনার। অভিযোগের তীর ছোড়েন সচিবের দিকেও। সিইসি আর সচিব মিলে স্বেচ্ছাচারিতা করছেন বলে মন্তব্য করেন মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতা চলে আসছে।
যদিও সচিব বলছেন, আইনী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে স্বেচ্ছাচারিতা করছেন নির্বাচন কমিশনাররা।
নির্বাচন কমিশন সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আইনের মধ্যে থেকে কাজ করলে সেটাকে স্বেচ্ছাচারিতা বলে না। বরং যারা আইনের মধ্যে থেকে কাজ করছে তাদের নিয়ে কথা বললে হয় স্বেচ্ছাচারিতা।’
এ বিষয়ে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, শিগগিরই দেয়া হবে নির্বাচন কমিশনারদের সব অভিযোগের জবাব।
বিভিন্ন সময় ইসিতে নানা বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও এবারই প্রকাশ্যে তীব্র আকার ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশনের দ্বন্দ্ব।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *