নিজস্ব প্রতিবেদক : মশক নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) আধুনিক যন্ত্রপাতির সংযোজন করা হয়েছে। মূলত মশক নিধন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শে এ যন্ত্রপাতিগুলো সংযোজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএনসিসি প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন জানান, সংযোজিত যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ২০টি মিস্ট ব্লোয়ার এবং দুটি ভেহিকেল মাউন্টিং ফগার মেশিন রয়েছে। এছাড়া আরও ৩টি ভেহিকেল মাউন্টিং ফগার মেশিন ক্রয় করা হবে।
ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলে দুটি করে ১০টি অঞ্চলে ২০টি মিস্ট ব্লোয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই মেশিনটি মশার ডিম ও লার্ভা নিধনে অর্থাৎ লার্ভিসাইডিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। যে সব ড্রেন ঢাকা থাকা সে সব ড্রেনের ভেতরে লার্ভিসাইডিংয়ের জন্য মিস্ট ব্লোয়ার খুব উপযোগী। এ মেশিনের সাহায্যে প্রায় ৩০-৪০ ফুট পর্যন্ত দূরত্বে লার্ভিসাইডিং করা যায়। প্রতিটি মেশিনটি পরিচালনা করতে মাত্র ১ জন জনবলের প্রয়োজন হয়। ম্যালেরিয়া অয়েল বিসহ যে কোনো লার্ভিসাইডিংয়ের জন্য এ মেশিন ব্যবহার করা যায়। গত ২১ নভেম্বর ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম মিস্ট ব্লোয়ার মেশিনগুলোর উদ্বোধন করেন।
ভেহিকেল মাউন্টিং ফগার মেশিন দুটি জার্মানি থেকে আনা হয়েছে। প্রতিটি মেশিন পিকআপ ভ্যানে বসিয়ে উড়ন্ত মশা নিধন অর্থাৎ এডাল্টিসাইডিং করা হয়। প্রতিটি মেশিনে ১৫০ লিটার এডাল্টিসাইড রাখা যায়। এ মেশিনের সাহায্যে অনেক দূর পর্যন্ত এডাল্টিসাইডিং করা যায়। কোনো গলির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত এ মেশিনের ধোঁয়া চলে যায়। ফলে অল্প সময়ে অনেক এলাকা এডাল্টিসাইডিং করা যায়। প্রতিটি মেশিন চালনা করতে একজন অপারেটর এবং একজন ড্রাইভারের প্রয়োজন হয়। ভেহিকেল মাউন্টিং ফগার মেশিন দুটি নভেম্বর ২০১৯ থেকে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া ইতিপূর্বে ১০টি মোটরসাইকেলে ফগার মেশিন স্থাপন করে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে ব্যবহার করা হচ্ছে।