নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজার সচল রাখতে পণ্য পরিবহনের ভাড়াসহ ও অন্যান্য খরচ কমানোর কথা ভাবছে বাংলাদেশ বিমান। সেই সঙ্গে কার্গো ফ্লাইট চালু করতে খোঁজা হচ্ছে নতুন গন্তব্য। কেনা হচ্ছে নতুন দু’টি কার্গো বিমান। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার পাশাপাশি ইউরোপ এখন লাভবান বাজার। তবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাড়াতে হবে সেবার মান।
শুধু কার্গো বা পণ্য পরিবহনের জন্য আলাদা কোনো উড়োজাহাজ নেই বিমানের। যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের কার্গো হোল্ডে সীমিত পরিমাণ বাণিজ্যিকভাবে পণ্য পরিবহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এতে মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিশাল বাজার থাকলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে ৯০ শতাংশ পণ্য পরিবহন করে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে কার্গো ফ্লাইট চালু করতে লাভজনক বাজার যাচাই করছে সংস্থাটি। প্রাথমিকভাবে, মধ্যপ্রাচ্য ও চীনে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা কথা জানিয়েছেন বিমান সচিব। সেই সঙ্গে কমানো হচ্ছে কার্গো পরিবহন খরচ।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, খরচ কমানো হচ্ছে। কোন রোডে আমাদের কার্গো যেতে পারে এবং কোন ধরনের ফ্লাইটে যেতে পারে সেটা নির্ধারণ করে আমরা কেনার উদ্যোগ নেব। ৭৩৭ যে বিমানের ধারণ ক্ষমতা ১৬২ জন যাত্রী। ওই ধরনের বিমান আমরা কিনব।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, কিছু কার্গো যাচ্ছে কলকাতা দিয়ে। যারা এক্সপোর্ট করেন তাদের যেখানে খরচ কম হবে তারা সেখানেই যাবে। আমরা চিন্তা করছি তাদের জন্য খরচ কতটুকু কমানো যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিমান কার্গো সার্ভিস চালু করলে সাশ্রয়ী ভাড়ায় পণ্য পরিবহন করা যাবে।
ফ্রেইটফরওয়াডার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বখতেয়ার বলেন, সবচেয়ে ভালো রোড হচ্ছে হংকং, থাইল্যান্ড ও চায়না। এখানে আমাদের প্রচুর মাছ, শাক-সবজি যায়।
গেল বছরে বিমান কার্গো পরিবহন করেছে ৩৬ হাজার টন। আয় করেছে ৬৯৬ কোটি টাকা। কার্গো পরিবহন কমে যাওয়ায় গেল অথর্বছরের চেয়ে এ অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে আয় কমেছে ৭৩ কোটি টাকা। কার্গো ফ্লাইট চালু করলে আয় অনেক বাড়বে প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের। ফলে আয় কমেছে ৭৩ কোটি টাকা।