মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরীঃ গোপালগঞ্জে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লোন গ্রহীতার কিস্তি জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপালগঞ্জ প্রশিকার ঋন গ্রহীতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় প্রশিকার গোপালগঞ্জ এলাকা শাখা থেকে আইরিন খানম নবীনবাগ গোপালগঞ্জ পাশ বইয়ের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা লোন গ্রহণ করেন। যা প্রতি মাসে ১৩৪০০/= +সঞ্চয় ৫০০/= টাকা করে ১৮ টি কিস্তিতে পরিশোধ যোগ্য।

গোপালগঞ্জ প্রশিকার বিভাগীয় ব্যাবস্থাপক সুজিত কুন্ডু।

ঋন গ্রহণের পর থেকে তিনি প্রতি মাসে নির্ধারিত কিস্তির টাকা পরিশোধ করে আসছেন। এর এক পর্যায়ে সমিতির ম্যানেজার অডিটের কথা বলে কিস্তির বই প্রশিকা অফিসে রেখে দেন। উক্ত বই অফিসে থাকা অবস্থায় আইরিন খানম প্রতি মাসে প্রশিকা পাচুড়িয়া গোপালগঞ্জ অফিসে দিয়ে আসেন। এর কিছু দিন পর তিনি কিস্তির বই ফেরত চাইলে তারা তাল বাহানা করতে থাকে। এবং তারা বলে যে আপনি টাকা অফিসে দিয়ে যান আমরা আপনার বইতে তুলে দিব।
এক পর্যায়ে বইয়ের জন্য চাপ দিলে তারা সম্প্রতি আইরিন খানমকে একটি নতুন বই প্রদান করেন। যেখানে ৮টি কিস্তি পরিশোধ দেখানো হয়েছে। তার কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে তিনি কৌশলে অফিস থেকে পুরনো বইটি উদ্ধার করেন। সে বইয়ে ১০টি কিস্তি পরিশোধ দেখানো হয়েছে। আইরিন খানম জানান বাস্তবে তিনি ১৫টি কিস্তি পরিশোধ করেছেন। তিনি আরো বলেন প্রশিকা তাদের অপকর্ম জালিয়াতি ও প্রতারণা হালাল করতে আমার দেয়া ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের গ্রান্টি চেক ডিজঅনার করিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে আমাকে একটি লিগাল নোটিশ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী আইরিন খানম এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ অভিযোগের বিষয় গোপালগঞ্জ প্রশিকার বিভাগীয় ম্যানজার সুজিত কুন্ডু জানান আমরা অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ বিষয়ে প্রতিকার গোপালগঞ্জ এরিয়া ম্যানেজার নীলিমা হালদার বলেন এ ধরনের কোন ঘটনা সত্য নয়। তাকে নতুন ও পুরনো কিস্তি বইয়ের ফটোকপি দেখালে তিনি জানান ফটোকপি দেখে কিছু বলা যাবে না। তবে গ্রাহক মূল দুটি বই নিয়ে আসলে তখন আমরা যাচাই করে দেখবো। যদি গ্রাহকের অভিযোগ সত্য হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গ্রাহক জানান তারাও গোপালগঞ্জ প্রশিকার দ্বারা এ ধরনের হয়রানির শিকার। তারা এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।