মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে প্রয়াত বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের শত’তম জন্মদিন নানা কর্মসুচীর মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা চত্বরে শিল্পীর মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি,জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন,নড়াইল প্রেসক্লাব,নড়াইল জেলা প্রেসক্লাব,জেলা শিল্পকলা একাডেমি,এস এম সুলতান বেঙ্গল আর্ট কলেজ,এস এম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশন,লাল বাউল সম্প্রদায়,কৃষ্টিবন্ধন,জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,মূর্ছনা সংগীত নিকেতন,গ্রেভ শিল্পী গোষ্ঠীসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে শিল্পীর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ উপলক্ষে শিশুস্বর্গ মিলনায়তনে শিল্পীর জীবন ও কর্মের উপর শিশুদের অংকিত শত বর্গফুট দৈর্ঘের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, জাতীয় ও আন্তজাতিক বরেণ্য চিত্র শিল্পীদের অংশগ্রহণে আর্টক্যাম্প,শিশু চিত্রকর্মশালা,শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও শিশুদের নিয়ে নৌকা ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সুলতানের চিত্রকর্মের পর্যালোচনা,আলোচনা সভা ও শিল্পীর জীবনাদর্শের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র আদমসুরত প্রদর্শন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন-সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ,বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী,জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী,চিত্রশিল্পী হামিদুজ্জামান খান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক”সার্বিক-শাশ্বতী শীল,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী-লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম,নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা,সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেষার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি,জেলা প্রশাসন ও সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার উদ্যোগে দিনব্যাপী এসব কর্মসূচী পালিত হয়। চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক,১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি,১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’পুরস্কার ছাড়াও বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন। শিল্পী সুলতান অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নড়াইলের কুড়িগ্রামে সুলতান কমপ্লেক্স চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।