কালবের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের গালাগালি করতে বলেছেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন——নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, ট্রেজারার কালব 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

কালবের অবৈধ চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক :   ”দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কালব) এর চেয়ারম্যান (চেয়ারম্যান পদে থাকার বৈধতা নিয়ে আইনগত প্রশ্ন আছে) আগষ্টিন পিউরিফিকেশন আমাকে বলেছেন, সাংবাদিকরা ফোন দিলে গালাগালি করে দিতে কিন্ত আমি শিক্ষিত ও ভদ্রলোক তাই সাংবাদিকরা ফোন দিলে ভাল ব্যবহার করি, আমি অন্যদের মত দুর্নীতির মধ্যে নেই,তবে ভাইস চেয়ারম্যান ফাহমিদা সুলতানা সীমা বিগত বোর্ডে দায়িত্ব পালন কালে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন” উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন কালবের বর্তমান বোর্ডের ট্রেজারার নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস।

কালবের ট্রেজারার নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস।

সম্প্রতি নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস  এর সাথে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কথোপকথনের কলরেকর্ড গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। কলরেকর্ডে উপরোক্ত বক্তব্য ছাড়াও কালব কেন্দ্রিক আগষ্টিন পিউরিফিকেশন এর নানা ষড়যন্ত্রও প্রকাশ পেয়েছে।

কথোপকথনের এক পর্যায়ে নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস  বলেছেন-”অপেক্ষা করেন, চেয়ারম্যান বলেছেন দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে বোর্ডের দুই জনকে ফেলে দেয়া হবে এবং ষড়যন্ত্রকারিদের গুড়া করে দেয়া হবে”। এই বক্তব্য সম্বলিত কলরেকর্ড ভাইরাল হলে কালবের ডেলিগেটদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে।

অভিজ্ঞ ডেলিগেটদের ধারনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিপরীত প্যানেল থেকে নির্বাচিত সদস্যদের টার্গেট করে নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস  চেয়ারম্যানকে কোট করে উক্ত কথা বলেছেন।”দুই জনকে ফেলে দেয়ার” বিষয়টিকে তারা খুনখারাবির পরিকল্পনা বলে ধারনা করছেন। সদ্য সাবেক বোর্ডের সেক্রেটারির আকস্মিক  অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারনে এই সন্দেহ আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

যেকারনে বর্তমান বোর্ডে চেয়ারম্যানের বিপরীত প্যানেল থেকে নির্বাচিত ৭ জন সদস্যকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারন ডায়রী করার পরামর্শ দিয়েছেন সচেতন ডেলিগেটবৃন্দ।

কালবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাহমিদা আক্তার সিমা।

অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন যখন কালবের বিগত বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ফাহমিদা সুলতানা সীমা সহ কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তদন্ত করছেন ঠিক তখনই নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস  সীমার বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ করেছেন, যা আমলে নেয়ার মত বিষয়। রানিং বোর্ডের ট্রেজারার কর্তৃক ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সম্বলিত কলরেকর্ড দুর্নীতি দমন কমিশন এর তদন্তে নতুন গতি আনবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন।

এদিকে ১৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কালবের নির্বাহী বোর্ডের সভায় কলরেকর্ডের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। তবে চেয়ারম্যান এবং নরেশ চন্দ্র বিশ^াস নিজেদের রক্ষা করার জন্যে কলরেকর্ড কে ”এডিটেড” বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

সংবাদ মাধ্যম তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে যে, এটা ”এডিটেড” নয়। কলরেকর্ডটি দুই জনের মধ্যে কথোপকথনের ”আনকাট র’ ম্যাটিরিয়াল”। এটা প্রমাণ করতে ই কল রেকর্ডের কথোপকথন ভেরিফাই করতে সংশ্লিষ্ট একটি মহল সিআইডির এক্সপার্ট এর সাহায্য নিবে বলে জানা গেছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *