নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পুরো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ওইদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
তিনি বলেন, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।
জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজও শেষ করে আনছে কমিশন সচিবালয় ও ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা। তৈরি করা হয়েছে খসড়া ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের খসড়া তালিকায়। খসড়ায় ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৪৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে।
এ সিটিতে সম্ভাব্য ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন; এর মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩০ জন ও মহিলা ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯১ জন। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের খসড়া তালিকায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১ হাজার ১৫০টি ও ভোটকক্ষ ৬ হাজার ৬২২টি।
দক্ষিণ সিটির সম্ভাব্য ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৬ জন; এর মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭ জন ও মহিলা ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৯ জন। কমিশন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিদ্যমান ভোটার তালিকায় এ দুই সিটিতে ভোট হবে। এর ফলে ভোটার তালিকায় হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত নতুন ভোটাররা এ নির্বাচনে প্রার্থী বা ভোটার হতে পারবেন না।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে আইনগত কোনো জটিলতা নেই বলে জানিয়েছে ইসি সচিবালয়।
কর্মকর্তারা জানান, ইসি সচিবালয় থেকে আইনগত মতামত জানতে চেয়ে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বলেছে, ঢাকার দুই ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইনগত জটিলতা নেই এবং আইন অনুযায়ী নির্বাচন করতে বাধা নেই।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ হওয়ার পর ২০১৫ সালের এপ্রিলে দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনের পর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে, দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে। এ হিসাবে ঢাকা উত্তরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, আর দক্ষিণে একই বছরের ১৬ মে।
প্রসঙ্গত, এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের কথা থাকলেও তা থেকে পিছিয়ে আসে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়ার জন্য ভোটের সময় কিছুটা পেছানো হয়েছে। কারণ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনায় সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত টেকনিক্যাল টিম।