স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন। কুমিল্লার দেওয়া ১৬১ রানের জবাবে ১ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ঢাকা।
এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক মাশরাফি। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৬০ রান তোলে কুমিল্লা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯. ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন।
ঢাকার হয় ঝড়ো ইনিংস খেলেন মেহেদী হাসান। ব্যাট হাতে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ২টি চার আর ৭টি ছয়ে মাত্র ২৯ বলে ৫৯ রান করেন মেহেদী হাসান। এর আগে বল হাতেও অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। নিজের কোটার ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন ২টি উইকেটও।
ওয়ারিয়র্সের হয়ে ৬৫ বলে ৯৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ভানুকা রাজাপাকশে। টর্নেডো ইনিংসে ১৬০ রান তোলে কুমিল্লা। ঢাকার হয়ে দুটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান আর একটি উইকেট নেন সাদাব খান।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা শুভ হয়নি কুমিল্লার। শুরুতেই মেহেদি হাসানের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। পরে সাব্বির রহমানকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন ভানুকা রাজাপাকশে। তবে সমর্থন জোগাতে পারেননি অফফর্মে থাকা সাব্বির। একই বোলারের বলে ফেরত আসেন তিনি। এরপর ডেভিড মালানকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার প্রচেষ্টা চালান রাজাপাকশে। কিন্তু সঙ্গ দিতে পারেননি মালান। শাদাব খানের শিকার হন তিনি।
এরপর ইয়াসির আলিকে নিয়ে এগিয়ে যান রাজাপাকশে। অপর প্রান্ত থেকে পান দারুণ সহযোগিতা। ফলে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন তিনি। ফিফটির পর বাঁহাতি ওপেনার স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন রাজাপাকশে। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি না পেলেও ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ফলে লড়াকু পুঁজির পথে ছোটে কুমিল্লা।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স একাদশ:
ভানুকা রাজাপাকশে, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, ডেভিড মালান, ইয়াসির আলি রাব্বি, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (উইকেটরক্ষক), রবিউল ইসলাম রবি, সুমন খান, মুজিব-উর রহমান ও আল -আমিন হোসেন।
ঢাকা প্লাটুন একাদশ:
তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয় (উইকেটরক্ষক), মুমিনুল হক, জাকের আলী, আসিফ আলী, মেহেদী হাসান, শহীদ আফ্রিদি, শাদাব খান, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান মাহমুদ।