নইন আবু নাঈম তালুকদার, (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় ইব্রাহিম হোসেন মিন্টু মোল্লা নামের এক বখাটে যুবক প্রায় ২ মাস আগে ‘মা’কে শারিরীক ভাবে নির্যাতনের পর এবার চাচাকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে আহত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের মোল্লাবাড়ি এলাকায়।এ ঘটনায় বখাটে যুবক ইব্রাহিম হোসেন মিন্টু মোল্লার ‘মা’ ২৬ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের হারুন মোল্লার গত ১৪ মার্চ হার্ট এটাকে মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর পর থেকে হারুন মোল্লার বখাটে পুত্র সার্থপর, পর সম্পদলোভী ইব্রাহিম হোসেন মিন্টু মোল্লা তার মা রওশন আরা বেগম ও ছোট বোন রুনু আক্তার কে পিতার প্রাপ্ত সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
এতে রাজি না হওয়ায় গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মিন্টু মোল্লা তার মাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে গুরুতর আহত করে। পরের দিন ৪ সেপ্টেম্বর শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি হন রওশন আরা বেগম। এ ঘটনা তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানালে বিষয়টি সোসাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়। পরে এ ঘটনায় রওশন আরা বেগম বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি অভিযোগ করলেও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন শালিস ব্যবস্থার কথা বললেও বিষয়টি অজ্ঞাত কারনে এড়িয়ে যায় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
এ ছাড়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাড়ির সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে আবারও মায়ের সাথে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পরে মিন্টু। তখন রওশন আরা বেগম তার ছোট দেবর উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার হল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জয়নাল আবেদিনকে বিষয়টি জানালে তিনি মিন্টুর কাছে ঝগড়ার কারণ জানতে চাইলে মিন্টু ক্ষিপ্ত হয়ে লাটি দিয়ে পিটিয়ে চাচা জায়নাল আবেদিনকে জখম করে। তিনি বর্তমানে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যপারে মিন্টু মোল্লার মা রওশন আরা বেগম বলেন, এ দেশে বিচার নাই তাই কার কাছে বিচার চাইব নইলে ছেলের অত্যাচারে তার জীবন অতিষ্ট প্রায়। তিনি জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিচার দাবী করেছেন।
এ ব্যপারে মিন্টু মোল্লার চাচা মাওলানা জয়নাল আবেদিন তার ভাতিজা কাউকে মানেনা, যখন খুশি যাকে তাকে গালিগালাজসহ মারধোর করে এবং বলে আমার টাকা আছে, আমার সাথে তোরা পারবি না।
এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, মিন্টু মোল্লা উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। সালিশ বৈঠকে তার মায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেও সে তা চায়নি। এছাড়া তাদের পরিবারের মধ্যে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ ইকরাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।