বাগেরহাটের শরণখোলায় ভাইয়ের মারে জখম ভাই।
নইন আবু নাঈম তালুকদার, (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় ইউনুছ ফরাজি(৪৫) কে পিটিয়ে জখম করে অন্য ভাইয়েরা একটি ঘরে আটকিয়ে রাখার ৪ ঘন্টা পরে হাসপাতালে ভর্তি করে প্রতিবেশীরা। অবস্থার অবনতি ঘটলে জরুরী বিভাগে চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ০৬ অক্টোবর সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের বাধাল গ্রামের সিংবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে উপজেলার উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের বাধাল গ্রামের সিংবাড়ী এলাকার বাসিন্দা হাসান ফরাজীর পুত্র ইউনুস ফরাজী তার পিতার বিক্রি করা কিছু সম্পত্তি ক্রয় করার পর বড় ভাই রুস্তুম আলী ও মেঝ ভাই শাহ আলম প্রায়ই তার সাথে কোনো না কোনো অযুহাতে গালি-গালাজ ও শারিরীক নির্যাতন করত।
গত ৬ অক্টোবর সকালে ব্যাক্তিগত কাজে বীজতলায় গেলে রুস্তুম ও শাহ আলম ওই জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথার কাটাকাটি শুরু করে। পরে সেখানে হাজির হয় শাহ আলমের পুত্র মুহিত(২২) ও অন্য ভাইয়ের পুত্র শাহিন(২৮) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে কিলঘুষি শুরু করলে ইফনুছ ফরাজি দৗড়ে বাড়িতে ঘরে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে।
পরে সেখান থেকে টেনে হেচড়ে বের করে লাঠি ও শাপল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে একটি ঘরে আটকিয়ে রাখে। পরে গ্রামবাসির সহযোগীতায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আসফাক হোসেন বলেন তার আঘাত গুরুতর এবং রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপরে ইউনুস ফরাজির স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, ভাই-ভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকলেও স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন হালদারের ইন্দনে প্রায়ই তারা আমাদেও শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন হালদার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করেছেন।
শরণখোলা থান পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।