রং তুলির আঁচড়ের পূর্বের দেবী দূর্গার প্রতিমা।
সুমন হোসেন, অভয়নগর (যশোর) : যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ১শ’ ৩৪টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গা উৎসব এর আয়োজনে ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আনসার ও পুলিশ সদস্যদের যৌথ ২৪ ঘন্টা ডিউটি রয়েছে। মন্দির এলাকায় যে কোনো ধরনের সমস্যা মোকবেলা করতে তৎপর রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহলদল। বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চত করতে থানা পুলিশের মোবাইল টিম নিয়মিত মনিটরিং এর কাজ করছেন।
সূত্র জানায়, অভয়নগরে ১শ’ ৩৪টি মন্দিরে ৭শ’ ১৬ জন আনসার সদস্য ও প্রায় ২ শতাধিক পুলিশ সদস্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে অধিক ঝুকিপূর্ণ আছে ২৪টি মন্দির। প্রতিটি মন্দিরে ২জন পুলিশ সদস্য। ঝুকিপূর্ণ মন্দিরে ৮জন আনসার ও ঝুঁকিমুক্ত মন্দিরে ৬/৪ জন আনসার সদস্যরা ডিউটি করছেন। এর মধ্যে ১জন পিসি, ১জন এপিসি, ২জন নারী ও ২জন পুরুষ আনসার সদস্য রয়েছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৪০ জন আনসার কমান্ডার ও ১শ’ ৫০জন আনসার সদস্য রয়েছে।
গতবছর ১শ’ ২৮টি মন্দিরে ৬শ’ ৫০জন আনসার সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আনসার সদস্য বলেন,২০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত নিয়মিত পাঁচ দিন ২৪ ঘন্টা ডিউটি করি। আমাদের জন্য কোনো খাবারের বরাদ্দ নেই।
আনসার পিসিদের প্রতিদিনের হাজিরা ৫শ’ ২৫ টাকা ও এপিসি/সাধারন সদস্যদের ৪শ’ ৭৫ টাকা। একসাথে পিসি মোট ২ হাজার ৬শ’ ২৫ টাকা এবং সাধারন সদস্য মোট ২ হাজার ৩শ’ ৭৫ টাকা পাবে। আমরা অফিসের থেকে কোনো খাবারের বরাদ্দ পাই না। আবার মন্দির কতৃপক্ষকে খাবারের কথা বললে তারাও রাগান্বিত হয়। শুনেছি আমাদের খাবারের সরকারি বরাদ্দ আছে। কিন্তু এই টাকা কি হয়? জানি না।
এ বছর যশোর জেলায় ৭শ’ ৩৩টি মন্দিরে মোট ৪ হাজার ৪শ’ ৮০ জন আনসার সদস্য শারদীয় দূর্গা পূজার উৎসবে নিরাপত্তায় কাজ করছেন। অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মন্দির এলাকায় আনসারদের সাথে নিরাপত্তার জন্য ডিউটি করছে। কোনো প্রকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার খবর পেলে তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
অভয়নগর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোসা: জেসমিন নাহার বলেন, উপজেলার সকল মন্দিরে আনসার সদস্যরা ২৪ ঘন্টা ডিউটি করছে। শারদীয় উৎসব উপলক্ষে আমাদের একটি টহলদল মোবাইল টিম হিসাবে মনিটরিং এর কাজ করছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আনসার সদস্যদের কোনো খাবারের বরাদ্দ নেই। নামের তালিকার তথ্য পেতে চাইলে তিনি বলেন, আনসার সদস্যদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান।
যশোর জেলার আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার শাহা বলেন, সারাদেশের ন্যায় যশোরের প্রতিটি উপজেলায় শারদীয় দূর্গা পূজার উৎসব উপলক্ষে ব্যপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যার খবর পেলে তৎক্ষনাৎ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।