নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি টাকার জাল নোট ও ১০ কোটি টাকার বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এসময় সাইফুল ইসলাম (৩০) ও শাহ আলম (৪০) নামে দুইজনকে আটক করে র্যাব।
শুক্রবার দুপুর ১ টায় জাল টাকা উদ্ধার হওয়া আবাসিক ভবনের সামনে থেকে ব্রিফ করে এ কথা জানান র্যাব-১০ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি কাইমুজ্জামান।
কাইমুজ্জামান বলেন, গতকাল রাত ৯ টায় কদমতলী এলাকা থেকে শাহ আলম নামের একজনকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকাসহ আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি এই এই কারখানার তথ্য দেন।
তার থেকে তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে এই আবাসিক ভবনটি আমরা ঘিরে ফেলি। অবশেষে ভোর রাতের দিকে আমরা ভবনটির তিন তলার একটি ফ্লাটে এই কারখানাটির সন্ধান পাই।
ফ্লাটে এই পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকলেও আজ এই বাসায় কেউ ছিল না। আমরা জানতে পেরেছি তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের এক স্বজনের বাড়িতে গিয়েছে।
ব্যাবের এই অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, এই চক্র সাধারণত ঈদকে সামনে রেখে এই কাজ করে তবে আমরা অনেক দিন থেকে খবর পাচ্ছিলাম এই চক্রটি বিপুল পরিমান নোট বাজারে ছেড়ে আসছে। এদের ধরতে র্যাবের একটি গোয়েন্দা টিমকে এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই আমারা তাদের ধরতে পারি।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে তারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাদের আরও সদস্য রয়েছে। তারা সারাবছরই জাল টাকা তৈরি করে। আমরা আরো তথ্য নিয়ে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালাব।
অন্যদিকে সরজমিনে দেখা যায়, দুই রুম বিশিষ্ট এই ফ্ল্যাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে টাকা ও টাকা তৈরির সরঞ্জাম।
এই ফ্লাটটির পাশের বাসিন্দারা জানান, এখানে ৫ জনের পরিবার বাস করত। তাদের মধ্যে একটি বাচ্চাও ছিল। জায়গাটি একাবারেই নিরিবিলি। এখানে বাহিরের মানুষের আনাগোনা একেবারেই নেই। এই সুযোগ নিয়ে গত ৫ বছর ধরে এই কাজ করে আসছিল চক্রটি।
ভবনটির মালিক জানিয়েছে, তারা ২০১৪ সালে ফ্লাটটি ভাড়া নেই। তারা সবধরনের কাগজ পত্র জাম দিয়েই এখানে ছিল বলে জানান তিনি। তবে এখানে ভবনটির মালিক থাকত না বলে জানিয়েছে র্যাব।