দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের কর্মকর্তারা সরেজমিনে গিয়ে সরকারি বাসা অবৈধ দখল মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-২,এর এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে জিগাতলা বি-টাইপ কলোনির ৫টি ভবনের ২০ টি সরকারি বাসা অবৈধভাবে দখল করে বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর এক অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়, ঢাকা থেকে গত ৩ নভেম্বর, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা কালে টিম জিগাতলা বি-টাইপ কলোনির ৫টি ভবনের প্রতিটি বাসার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে সর্বমোট ২০টি বাসা অবৈধভাবে দখল করা অবস্থায় পায়।
উক্ত বাসাগুলোয় অবস্থানকারী বহিরাগত ভাড়াটিয়ারা জানান তারা উক্ত কলোনির নেতা ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রশাসন-২, বাংলাদেশ সচিবালয় এর জনৈক কর্মচারীর মাধ্যমে বাসা ভাড়া নিয়েছেন এবং তাকে ভাড়া পরিশোধ করছেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত এর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের রেকর্ডপত্রে দেখা যায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বন্ধ ফ্ল্যাটের তালা ভেঙ্গে বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দিয়ে সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলে রেখে সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এর পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট অভিযানের প্রেক্ষিতে অবৈধ দখলদার মুক্ত করার উদ্দেশ্যে ধানমন্ডি গণপূর্ত উপবিভাগ কর্তৃক ওয়াসা, পিডিবি ও তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সহযোগিতায় উক্ত কলোনিতে উক্ত ২০ টি বাসায় গত ১০ নভেম্বর, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে উক্ত কলোনির দখলকৃত বেশিরভাগ বাসা অবৈধ দখলদার মুক্ত হয় বলে উপবিভাীয় প্রকৌশলী, ধানমন্ডি গণপূর্ত উপবিভাগ দুদক টিমকে জানান।