আত্মহত্যার প্রতিকি ছবি।
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় দুই সন্তানের জননী সোনিয়া বেগম (২৭) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামে। এ ঘটনায় সোনিয়ার বড় ভাই বাদী হয়ে ২ জনকে আসামী করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর স্বামী সাদ্দাম হোসেন পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র ও রায়েন্দা বাজার পাঁচরাস্তার এক মুদি দোকানের কর্মচারি সাদ্দাম হোসেন এর সাথে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট মাছুয়া গ্রামের আ. আজিজ হাওলাদারের মেয়ে সেনিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই দম্পতির রাইসা নামের ছয় বছেরের এক মেয়ে ও সজীব নামে ছয় মাসের ফুটফুটে এক ছেলে রয়েছে।
সোনিয়ার মা দুলিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, সাদ্দাম দীর্ঘদিন ধরে পার্শবর্তী একই গ্রামের লাবনী আক্তার (২৮) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় আসক্ত রয়েছে। এ জন্য বাড়িতে রাতে প্রায়ই দেরি করে আসায় এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। সাদ্দামের পরিবার জানায়, ঝগড়া ঝাটির সূত্র ধরে ২৩ নভেম্বর রাতে সোনিয়া ঘরের আড়ার সাথে দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। কিন্তু মেয়ের মা অভিযোগ করে বলেন তার মেয়েকে হত্যা করে দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) সুব্রত কুমার সরকার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। তিনি আরও বলেন ঘটানটি হত্যা না আত্মহত্যা তা প্রমান করার জন্য মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোনিয়ার বড় ভাই মোঃ আল আমিন বাদী হয়ে সাদ্দাম ও লাবনীকে আসামী করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।