কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের হাতে আটককৃত নড়াইল মির্জাপুর গ্রামের চিহ্নিত ডিজিটাল প্রতারক চক্রের প্রধান, নীল ছবির নায়ক, ফেসবুক ও ইমো হ্যাকার বেনজির আহমেদ।
মো:রফিকুল ইসলাম (নড়াইল) : কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ঢাকা’র প্রধান মোঃ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে নড়াইলের সদর উপজেলার মির্জাপুরের প্রতারক বেনজীর আহমেদকে গত ২১ নভেম্বর আটক করা হয়েছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেনকাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ঢাকা’র প্রধান মোঃ আসাদুজ্জামান, তিনি জানান, আটককৃত প্রতারক বেনজীর আহমেদ বিছালী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের জামির মোল্যা’র ছেলে।
প্রতারক বেনজীর আহমেদকে আটকের পর এটিএন বাংলা নিউজে সংবাদ প্রচারিত হলে নড়াইলে’র মির্জাপুর গ্রামের সাধারণ জনগণ আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন।এসময় প্রশাসনের কাছে প্রতারক বেনজীর আহমেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন নড়াইলবাসী।
আমেরিকান প্রবাসী পাইলট এর ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার করে পাঁচ বছরের ব্যাবধানে প্রতারক বেনজীর আহমেদ হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা।নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় ডুবলেক্স বাড়ি, নিজের গ্রামের বাড়ি মির্জাপুরে পৈত্রিক বসতবাড়িতে একাধিক তিনতলা বিল্ডিং। সিংগিয়া শোলপুরের সাধনের মোড়ে স’মিল, সিংগিয়া বাজারে একের অধিক দোকানের পজিশন ও দোকান ছাড়াও রয়েছে প্রাইভেট ক্লিনিকের ব্যাবসা।
প্রতারণার অভিযোগে নড়াইলের চিহ্নিত প্রতারক বেনজীর আহমেদকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি চৌকস টিম আটক করে ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
প্রতারক বেনজীর ডিভোর্সি,তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোট কোটি টাকা। এদিকে, নড়াইলেও ডিভোর্সি মহিলাদের সাথে শারীরিক সম্পর্কের আড়ালে নীল ভিডিও ধারণ করেও অসহায় ডিভোর্সি নারীদের ব্রাকমেইল করে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা এবং এ সকল মহিলাদের পর্নোগ্রাফি ভিডিও অসাধু উপায়ে বিদেশে বিক্রি করে ব্যবসা চালিয়ে গেছে এই প্রতারক বেনজীর আহমেদ। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অনেক অভিযোগ।
অভিযোগ রয়েছে মির্জাপুরসহ নড়াইলে প্রতারক বেনজীর আহমেদ নিঃসঙ্গ ডিভোর্সি মহিলাদের সাথে প্রেমের অভিনয়সহ বিয়ের প্রলভোন দেখিয়ে প্রতারণা করে প্রতি সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা বিকাশ ও নগদ একাউন্টের মাধ্যমে উত্তলন করে বলে জানান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মোঃ আসাদুজ্জামান।
প্রতারক বেনজীর নড়াইলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কায়দায় প্রশাসনের বড় বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা বলেও অভিযোগ রয়েছে প্রতারক বেনজীর আহমেদের নিজ গ্রাম মির্জাপুরে।
বিছালী ইউনিয়নে কোন রকম ঘটনা ঘটলে বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দিবে বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন এই প্রতারক বেনজীর আহমেদ বলে নানা অভিযোগ রয়েছে।
প্রতারক বেনজীরকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা আটক করায় মির্জাপুর বাজারে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। এটিএন বাংলা নিউজে প্রতারক বেনজীর আহমেদের সংবাদ প্রচার হওয়ায়,বিছালী ইউনিয়নসহ মির্জাপুর গ্রামবাসী আনন্দিত ও উল্লাসিত তারা প্রতারক বেনজীরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বিছালী ইউনিয়নসহ মির্জাপুর গ্রামবাসী এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদসহ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।