নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ৫ ডিসেম্বর, সকাল অনুমান ৮ টা ৪৫ মিনিটের সময় স্থানীয় একজন মহিলা বাগেরহাট খান জাহান আলী মাজার পুকুর একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। স্থানীয় লোকের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ অজ্ঞাত মৃতদেহ পানি থেকে উত্তোলন করে।
মৃতদেহ টির পরিচয় সনাক্ত না হওয়ায় পিবিআই বাগেরহাট পুলিশকে বিষয় টি অবগত করা হলে পুলিশ সুপার জনাব আবদুর রহমান পিবিআই, বাগেরহাট জেলার নির্দেশে পিবিআই ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ টি সনাক্তের উদ্দেশ্য আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে মৃতদের আত্মীয় স্বজনরা এসে মৃতদেহ সনাক্ত করেন।
ভিক্টিমের আত্মীয় স্বজনরা জানান ভিক্টিম প্রহ্লাদ দাস@ভোলা (৫৩) গত ৩০ নভেম্বর, তার অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তারা গত ১ ডিসেম্বর কচুয়া, বাগেরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সংবাদ পেয়ে তারা এসে মৃতদেহ সনাক্ত করেন।
পিবিআই বাগেরহাট ভিক্টিমের আত্মীয় স্বজনদের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। পিবিআই প্রধান বনোজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার) পিপিএম, এর নির্দেশে পুলিশ সুপার আবদুর রহমান এর সার্বিক তত্বাবধানে এসআই কমলেশ এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম ছায়া তদন্ত অব্যহত রাখে। পিবিআই এর টিম বাগেরহাট শহরের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি মোঃ ইউসুফ (৩৬) কে ঢাকার দারুস সালাম প্রিয়াঙ্গন আবাসিক এলাকা থেকে পিবিআই মেট্রো উত্তর ও পিবিআই হেডকোয়ার্টার এর সহায়তায় গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ রাতে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোঃ শামসুল হক মুম্সি@শামসু (২৬) এবং শামসু এর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোঃ সাদ্দাম হোসেন ৩২) কে ভিক্টিমের অটোরিকশাসহ গ্রেফতার করা হয়। তারা সকলেই চিতলমারী থানার বাসিন্দা।
আসামিরা জানায় যে, আটো চুরির উদ্দেশ্য তারা ভিক্টিমকে জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে সেবন করিয়ে তাকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে ভিক্টিমের অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
অটোটি ৩নং আসামি ক্রয় করে তার অংশ রেখে বাকি টাকা অপর দুই আসামি কে দেয়। নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য তারা প্রায়ই এমন অটোরিকশা চুরি করে বলে পিবিআই এর নিকট স্বীকার করেছে।