নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। সোমবার ১৮ ডিসেম্বর, দুপুর ১২টায় ধানমন্ডিতে কাজী ফিরোজ রশীদের বাসায় এ সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এ সময় তাঁরা পরস্পরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান। এ ছাড়া ঢাকা-৬ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে মনোনয়ন দেওয়ায় গত রোববার ১৭ ডিসেম্বর, নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন কাজী ফিরোজ রশীদ।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘ঢাকা-৬ আসনে সাঈদ খোকন যখন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন, তখনই তাঁর বিজয় সুনিশ্চিত হয়ে গেছে। সে পুরান ঢাকার সন্তান। এই এলাকার সবাই তাঁর বাবার আপনজন। এখন শুধু ৭ জানুয়ারি ভোটের দিনের অপেক্ষা। সে আমার নির্বাচনের সময় (২০১৮) সর্বাত্মকভাবে পাশে ছিলো। আমিও মাঠ পর্যায়ের আমাদের জাতীয় পার্টির সব নেতাকর্মী নিয়ে তাঁর পাশে থাকবো।’
কাজী ফিরোজ রশীদ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘কাজী ফিরোজ রশীদ আমার চাচা। তিনি আমার প্রয়াত পিতা মেয়র মোহাম্মদ হানিফের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। এক সময় তাঁরা এক সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক আমাদের। আমি যখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলাম, তখন আমাদের এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো। আমরা দুজনই একসঙ্গে পুরান ঢাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি, সেবা করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আজকে নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন কাজী ফিরোজ রশীদের কাছে দোয়া ও সমর্থনের জন্য এসেছি। তিনি আমাদের সাথে থাকার কথা ব্যক্ত করেছেন। আমি নির্বাচিত হতে পারলে ঢাকা-৬ আসন নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবো, ইনশাআল্লাহ।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা-৬ আসনে একজন প্রার্থী হিসেবে অন্য প্রার্থীদের ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। যারা এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন, তাদেরকে আমি সিরিয়াসভাবেই নিবো এবং আমার বিজয় সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমি কাজ করে যাবো। সবাইকে আমার শক্ত প্রতিদ্বন্দী হিসেবেই বিবেচনা করবো।
এর আগে বেলা ১১টায় আজিমপুর কবরস্থানে মেয়র মোহাম্মদ হানিফের কবর জেয়ারত ও দোয়া-মোনাজাত করেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।