গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা-৫ আসনে নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সাঘাটা ও ফুলছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ওসিদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই আসনে গত উপনির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।
পক্ষপাতের অভিযোগে এক প্রার্থীর করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাঘাটার ইউএনও ইসাহাক আলী ও ফুলছড়ির ইউএনও আবু সাঈদ এবং সাঘাটা থানার ওসি তাজুল ইসলাম ও ফুলছড়ি থানার ওসি রজব আলীকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ফুলছড়ির ইউএনও আবু সাঈদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সাঘাটার ইউএনও ইসাহাক আলী বলেন, খবরটি লোকমুখে শুনেছি। আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাইনি।
এর আগে নির্বাচনে ওই আসনে দায়িত্ব পালনে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনে রিট করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা বুবলী। তিনি সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে।
২০২২ সালের ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। দেশে নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে অনিয়মের কারণে কোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচন পুরোপুরি বন্ধ করার ঘটনা সেটিই প্রথম।
পরে ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি সেখানে নতুন করে ভোট হয় এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হোসেন রিপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিপন এবারও গাইবান্ধা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী।