আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কাবির মিয়া।
মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী, (গোপালগঞ্জ) : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ সময়ে গোপালগঞ্জ-১ আসনে প্রচার প্রচারণা জমে উঠেছে। এ আসনে পাঁচ জন প্রার্থী থাকলেও এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কাবির মিয়ার সাথে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়ার ঈগল পাখি প্রতীকের পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে তীব্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন এখানকার বার বার নির্বাচিত এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হেভিওয়েট প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান। মুকসুদপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা,১৬টি ইউনিয়ন এবং কাশিয়ানি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গোপালগঞ্জ-১ সংসদীয় এলাকা গঠিত হয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট সামনে রেখে গোপালগঞ্জ- ১ আসনের শেষ মূহুর্তের প্রচার প্রচারণা জমে উঠেছে। এ আসনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্রসহ মোট পাঁচ জন প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি (নৌকা), সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কাবির মিয়া (ঈগল পাখি), জাতীয় পার্টির এ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম মোল্লা (লাঙ্গল) তৃনমুল বিএনপির মোঃ জাহিদুল ইসলাম (সোনালি আঁশ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (আম)।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়া তাদের কর্মি সমর্থকদের নিয়ে দিন রাত ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকায় উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। এখানে অন্য দলের প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়ার সরাসরি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন। ভোটের মাঠে মুহাম্মদ ফারুক খান এর আগে কখনো এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হননি।
এ আসনের সাধারণ মানুষ মনে করছে নৌকার চোখে চোখ রেখে ঈগল পাখি প্রতীক এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। মোঃ কাবির মিয়া গত উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এমপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হয়ে সে ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে মনে করছেন তার সমর্থকরা। এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খানের সমর্থকরা মনে করছেন শেষ সময়ে সাধারণ ভোটাররা জননেত্রী শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকা প্রতীককে পুনরায় ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করবে।