নিজস্ব প্রতিবেদক (যশোর) : ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে নড়াইলে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন,আসামী গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধারসহ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি নিলো পিবিআই, যশোর, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।

জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট বিকালে মুন্নি খানম শ্বশুর বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। ঐদিনই রাত্র অনুমান ২১ টার পর হতে মুন্নি খানমকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের লোকজন থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে।
পরর্তীতে নড়াগাতী থানা পুলিশ গত মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর, সকাল অনুমান ১০ টার সময় নড়াগাতী থানাধীন দক্ষিণ নলামারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে পরিত্যাক্ত পুকুরের উত্তর পশ্চিম কোণে পানির মধ্য হতে একজন অজ্ঞাতনামা মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে। সংবাদ পেয়ে মুন্নি খানমের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উক্ত মৃতদেহ তাদের মেয়ের মর্মে সনাক্ত করে।

ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০৯/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করে।

উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে পিবিআই যশোর জেলা ছায়া তদন্ত অব্যহত রাখে। তথ্য প্রযুক্তি সহায়তা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ সাইদুর রহমান পিপিএম-সেবা গত বুধবার ৩ সেপ্টেম্বর, একই থানাধীন আসামী মোঃ সোহেল সরদার(২০) ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন মেস হতে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামীর দেখানো ও দেয়া তথ্য মতে ভিকটিমের গলায় থাকা স্বর্ণের লুন্ঠিত চেইনটি আসামীর নিজ বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার করা হয়।
সাক্ষ্য প্রমাণে জানা যায়, মুন্নি খানমের সাথে আসামী সোহেল সরদার (২০) এর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৯ আগস্ট, ভিকটিম শ্বশর বাড়ি থেকে তার পিতার বাড়িতে আসে এবং প্রেমের টানে তারা ঐদিনই রাত অনুমান ৯ টা ৩০ মিনিটের সময় নলামারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে একে অপরের সাথে দেখা করে।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দিলে আসামী ভিকটিমকে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী ডোবায় কচুরিপানার মধ্যে মৃতদেহ ফেলে চলে যায়। যাওয়ার সময় ভিকটিমের গলায় থাকা চেইন নিয়ে যায়।
আসামী বাড়ীতে যাওয়ার পরে উক্ত চেইনটি ইমিটেশন মনে করে নিজ বাড়ীর পিছনে বাঁশবাগানে ফেলে দেয় মর্মে স্বীকার করে। সোহেল সরদারকে গত বৃহস্পতিবার ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলমান।