অভয়নগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গুড় মেলা ও পিঠা উৎসব শুভ উদ্বোধন

Uncategorized ইতিহাস ঐতিহ্য খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

সুমন হোসেন (যশোর) : “অভয়নগরের সুর, খাটি খেজুরের গুড়” স্লোগানকে সামনে রেখে প্রথম বারের মত উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী গুড় মেলা ও পিঠা উৎসব এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকালে নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গুড় মেলা ও পিঠা উৎসব এর বিভিন্ন স্টলে খাটি গুড়ের বাহারী রকমের পিঠা পুলির পসরা সাজানো দেখে মুখরিত এলাকার নানুষ। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা খাটি খেজুর গুড়ের বিভিন্ন তৈরি পণ্য পেয়ে পরিবারের জন্য ক্রয় করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। সেই সাথে উপজেলা প্রশাসনকে মেলা দেখতে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

“নানা রঙের ফুলের মেলা, খেজুর গুড়ের যশোর জেলা”
সন্ধ্যায় নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মেলা স্টল সংলগ্ন মঞ্চে বক্তব্য অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো: রফিকুল হাসান। বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তুশার কুমার পাল, (খ-সার্কেল) পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, যশোর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি দিপংকার দাস রতন, নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো: রবিউল হাসান, অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিকুল ইসলাম আকিক, মোসা: লাভলী আক্তার সহ প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন

গুড় মেলায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মেলা প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে ওঠে। খাটি গুড় দিয়ে তৈরী বিভিন্ন পিঠা ও খাটি খেজুর গুড় বিকিকিনির মাধ্যমে সাড়া ফেলে প্রচুর। মেলায় গুড় দ্বারা তৈরি করা প্রায় অর্ধ শতাধিক পিঠার পসরা দেখতে পাওয়া যায়।

তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: পাকান পিঠা, কুলি পিঠা, নারকেলের পাটালী, চন্দ্রমল্লিকা, কমলাভোগ, ডিম সুন্দরী, গুড় লতিকা, নবাবী হালুয়া, রাজদৌল্লা, রসের চুষি পিঠা, পাটি সাপটা পিঠা, নারকেল ও গুড়ের মাঝপিঠা, সতীন মোচড়, কমলাভোগ সহ ইত্যাদি। গুড় মেলা ও পিঠা উৎসবে মোট ৩০টি স্টলে খাটি গুড় ও শীতকালীন পিঠা বিক্রি করা হয়। এ সময় মেলায় নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউট এর শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এলাকাবাসী।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *