জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জয়পুরহাট পৌর শহর সাহেব পাড়ার বাসিন্দা ও মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে বর্তমানে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ও একই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আনিছুর ভিজিএফের চালের ভাগাভাগি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়, কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের সহকারী সচিব আরিফুল ইসলাম কে মারধর করে এবং চেয়ারম্যান মাসুদ রানা এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে ইউপি সদস্য আনিছুর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ইউপি অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে লাখ লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি করা হয় বলে অভিযোগ চেয়ারম্যানের।
গতকাল ২ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান আজ বুধবার সকালে বলেন, মথুরাপুর ইউপির ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, ‘গতকাল দুপুর ১২ টা ৩০ মিঃ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এসএম তৌফিক মান্নান, ইউপি সদস্য আনিছুরসহ ১৫০ জন তার ইউপি অফিসে আসেন। তারা এমপির কাছে ভিজিএফের ৪০ শতাংশ চাল দেওয়ার দাবি জানান। সংসদ সদস্যদের বরাদ্দের ৪০ শতাংশ সুবিধাভোগীদের তালিকা দিতে বলেছি। তারা বলেছেন, তালিকা নয়, সরাসরি চাল নেবেন।
কিন্তু এভাবে সরাসরি চাল নিলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। চাল দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে ও হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আরিফুল ইসলামকে মারধর করে।
এ ছাড়া তারা ইউপি অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে আমার ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে।
এ ঘটনা আমি নওগাঁর ডিসি ও বদলগাছির দায়িত্বরত ইউএনওকে জানিয়েছি। তারা আমাকে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছে।