নিজেকে রক্ষায় মরিয়া হয়ে বিভিন্ন রকম অপ-তৎপরতা শুরু করেছেন শীর্ষস্থানীয় সোনা চোরাকারবারি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

শীর্ষস্থানীয় সোনা চোরাকারবারি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  এবারও নিজেকে রক্ষায় মরিয়া হয়ে বিভিন্ন রকম অপ-তৎপরতা শুরু করেছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সোনা চোরাকারবারি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। আওয়ামীলীগের এমপি আনার খুনের পরিকল্পনাকারি হিসাবে দিলীপ জড়িত-এমন ইঙ্গিত গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পরই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে সে। তার সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য যশোরের আরেক এমপি শাহিন চাকলাদার। আনার খুনের পরিকল্পনায় শাহিন চাকলাদারের নামও এসেছে।


বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি শাহিনের সোনার কারবারের ১৫০ কোটি টাকা মেরে দেয় এমপি আনার। আর দিলীপের প্রতি চালানে ‘বিস্কুট’ প্রতি কমিশন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আনারকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে শাহিন-দিলীপ সিন্ডিকেট। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনা করেছে দিলীপ। আর তা হচ্ছে-আনারের আসনে উপ নির্বাচনে এমপি হওয়া ও ভারতে সোনা চোরাচালানে একক ডন বনে যাওয়া। এই সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য দিলীপের চোরাকারবারি বাণিজ্যের পার্টনার শাহেদ ওরফে সিঙ্গাপুরি শাহেদ। সে আনার খুনের জন্য সেও অর্থ সহায়তা দিয়েছে।

বলার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও অতি ধূর্ত দিলীপ আওমীলীগ ও এফবিবিসিআই এর পদ ভাঙ্গিয়ে সব অপকর্ম থেকে নিজেকে বরাবর ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখেন।এক্ষেত্রে প্রশাসন ও পুলিশের বড় কর্তাদের বউ-ঝিদের নজরকারা ডায়মন্ড গহনার সেট উপহার দিয়ে কুপোকাত করেন করেন তিনি।

বিতর্কিত মডেল পিয়াসাকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়লে সিআইডির এক কর্মকর্তার মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করেন তিনি। তবে এবার এমপি আনার খুনের ঘটনা মূলত পেছন থেকে তদন্ত করছে প্রভাবশালি একটি গোয়েন্দা সংস্থা। সেগুনবাগিচার অফিস থেকে সব নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আর তাদের দেয়া তথ্য ডিবি শুধু সামনে তুলে ধরছে। এখন দিলীপ তার ভারতীয় লবিংয়ে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *