টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগে বিআইডব্লিউটিএর দুই কর্মচারীকে বদলী !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি কর্পোরেট সংবাদ ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সাহিকুল ইসলাম ও সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা নাজমুল হুদা।


বিজ্ঞাপন

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগে বিআডব্লিটিএর দুই কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। এরা হলেন, নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সাহিকুল ইসলাম ও সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা নাজমুল হুদা।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডার জালিয়াতি সহ নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত এই সংঘবদ্ধ চক্র। এরা নিম্নমানের চাকরি করলেও ডিভিশনে এদের দাপটে অস্থির থাকতেন ঠিকাদার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা পর্যন্ত। এই প্রথম সাহিকুল ইসলাম ও নাজমুল হুদা টেন্ডার জালিয়াতি করে ধরে পড়েন। বিষয় ঈদের আগের ঘটনা হলেও তাদেরকে গত বৃহস্পতিবার বদলির আদেশ কপি পাঠানো হয়। সংঘবদ্ধ এই চক্র বদলির আদেশ ঠেকাতে বেশ মরিয়া হয়ে উঠে ছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান এর হস্তক্ষেপে তা পেরে উঠেনি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর জানা গেছে।

এদিকে নাজমুল হুদার বিষয়ে আরো অভিযোগ হচ্ছে, এক উচ্ছেদ অভিযানের মালামাল ম্যাজিস্ট্রেট এর ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে বিক্রি করে ছিলেন। ওই সময় বন্দর ও পরিবহন বিভাগের প্রভাবশালী কর্মকর্তা একেএম আরিফ উদ্দিনের প্রচেষ্টায় বিষয় টি ধামাচাপা দেয়া হয়।

নাজমুল হুদা এবং সাহিকুল ইসলাম এর বিষয়ে ডিভিশনের কেউ মুখ খুলতে চাননা। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, তারা উপরের বড়ো স্যারদের ম্যানেজ করে সব করেন। তবে এবার তাদের বিষয় টি নিয়ে কড়াভাবে নজর দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান। তাই তদন্তে দু’জনের এযাবৎ কালের সব অপকর্ম এবং দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে। এমনটাই আশা করছেন বিআইডব্লিউটিএর সাধারণ কর্মচারীরা। তাই তারা তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান এর কাছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, সাহিকুল ইসলাম এগারো বছর ধরে বন্দরে ডিউটি করেন। সে বিভিন্ন ঘাটের ইজারার সাথে জড়িত। এটা একটা বড়ো সিন্ডিকেট। এখানে বন্দরের একজন সিবিএ নেতার হস্তক্ষেপ ছাড়া কিছু হয়না। আরো অভিযোগ হচ্ছে, একটি ঘাট যখন ইজারা দেয়া হয়, তখন এক বছর এর জন্য দেয়া হয়।

 

নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সাহিকুল ইসলাম ও সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা নাজমুল হুদার বদলির আদেশের কপি।

 

 

কিন্তু এই সিন্ডিকেট ঘাট ইজারাদার এর সাথে আঁতাত করে তাকে দিয়ে মামলা ঠুকে দেয়। তাতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হলেও লাভবান হয়ে থাকে এই সঙ্ঘবদ্ধ চক্র। যেখানে সরকারের কোষাগারে লাখ লাখ টাকা থাকার কথা, সেখানে লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করেন এসব দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তি। বন্দরে ডিউটি করে এরা প্রত্যেকেই বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স এবং অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

বদলির বিষয়ে সাহিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এব্যাপারে এখনো আমি আদেশ পাইনি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি কিছু জানিনা। কি কারণে বদলি করা হয়েছে। আল্লাহ মা’বুদ জানেন। আমি তো যেখানে আছি সেখানেই কাজ করতেছি।

নাজমুল হুদা ও সাহিকুল ইসলামের বদলির বিষয়ে বন্দর ও পরিবহন বিভাগ এর পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তাদেরকে বদলি করা হয়েছে। এক জায়গায় চার পাঁচ বছর থাকলে এমনিতেই বদলি করা হয়।
নাজমুল হুদা ও সাহিকুল ইসলামের বদলির বিষয় টিও তাই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *