নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আইয়ুবনগরে ছয় বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় গ্লোবাল এডুকেশন কওমি ইনস্টিটিউট নামের ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. রবিউলকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শিশুটির মামা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনা জানাজানির পরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, সম্প্রতি ছয় বছর বয়সী ওই মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার করেন শিক্ষক রবিউল। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তার পরিবারের কাছ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে। পরে পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক রবিউলকে অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দেয়৷ পুলিশ এসে রাতেই রবিউলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়৷
ঘটনার পরপরই মাদ্রাসার মালিক ও অধ্যক্ষ মাওলানা মানফুজুর রহমান বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তিনি প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে থাকেন৷ এমনকি ঘটনা যাতে জানাজানি না হয়, সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে তদ্বির ও দেনদরবার চালাতে থাকেন৷ অন্যদিকে মাদ্রাসার অভ্যন্তরে বলাৎকারের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে অভিভাবকসহ স্থানীয় জনসাধারণ প্রতিষ্ঠানটির সামনে ভিড় জমান।
তারা জানান, প্রতিষ্ঠানটির মালিক মাওলানা মানফুজুর রহমানের বিরুদ্ধেও এর আগে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এক নারীর সাথে পরকীয়াকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রীর সাথে দ্বন্দ্ব, মামলার বিষয়টি সিদ্ধিরগঞ্জজুড়ে নিকট অতীতে বেশ আলোচিত হয়। একপর্যায়ে তিনি মাদানীনগর থেকে আইয়ুবনগরে এসে ঘাঁটি গাড়েন, গড়ে তোলেন কওমি ধারার এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। এবার তার সেই প্রতিষ্ঠানে বলাৎকারের ঘটনা প্রকাশ্যে এলো।
এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মাওলানা মানফুজুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সামির বলেন, আসামি মো. রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিম শিশুর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ইতোমধ্যে আসামিকে আদালতে চালান করা হয়েছে।