নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবি ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের। এর প্রেক্ষিতে গত ১৭ আগস্ট থেকেই ঘোষণা দিয়ে ৯০ দিনের ‘কাউন্টডাউন’ শুরু করেন তারা। কিন্তু মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে খাতটিতে তৈরি হয়েছে চরম অস্থিরতা। বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিয়োগ নিয়ে তৈরি হয়েছে অরাজকতা।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনকে অপসারণসহ আওয়ামীপন্থি সব কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানের দাবিতে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। এই ইস্যুতে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সদস্যদের হাতে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে খোদ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগমকে।
দায়িত্ব পাওয়ার প্রায় ১০ দিন হয়ে গেলেও আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে অফিস করতে পারছেন না ডা. রোবেদ আমিন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হওয়ার সুবাদে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হলেও এক সপ্তাহের ওপর হলেও এখন পর্যন্ত নিয়োগ হয়নি কোনো উপউপাচার্য। সব মিলিয়ে চিকিৎসাখাতে তৈরি হয়েছে চরম অস্থিরতা। ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা।
গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যখাতের সবধরনের অরাজকতা বন্ধে তথা স্বাস্থ্যখাতকে জনমুখী করার দাবিতে ৯০ দিনের কাউন্টডাউন শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তার একদিন পরেই ১৮ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মহাপরিচালকের পদত্যাগসহ আওয়ামীপন্থি সব কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে অস্থিরতা তৈরি করেন বিএনপিপন্থি চিকিৎসক নেতারা।
এদিন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনকে তার কক্ষ থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করার মতো অভিযোগও পাওয়া যায়। একই দিন আলাদা আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশিদ আলমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে ডা. রোবেদ আমিনকে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক করা হয়। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কথা থাকলেও তা না হয়ে শুরু হয় পাল্টা অস্থিরতা।
এদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন বিএনপিপন্থি চিকিৎসক-কর্মচারীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতে যত অপকর্ম হয়েছে, এগুলোর সহযোগী ছিলেন ওই কর্মকর্তারা। এদিন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগমের সামনেই তর্কে লিপ্ত হন তারা। একপর্যায়ে হেনস্তার শিকার হন উপদেষ্টা নিজেও।
শুধু তাই নয় নতুন মহাপরিচালক নিয়োগের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটকে নানান দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে চিকিৎসকরা। চিকিৎসা কার্যক্রম বাদ দিয়ে তাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ রোগীরা। এসব আন্দোলনকারীর অনেকেই প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, স্বাস্থ্যসেবা খাত জনজীবনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত।
এই খাতটিতে এরকম অরাজকতা মেনে নেওয়া যায় না। চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে কেউই তো চিকিৎসা পাবেন না। এ সাধারণ বিষয়টা তারা কেন বুঝতে পারছেন না। যে সরকারই আসুক এই খাতটাকে তো অচল করে তোলা যাবে না। অব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা না থাকলে যে কোনো আন্দোলনে আহতরা কিভাবে চিকিৎসা পাবে? আমাদের অনেক কর্মকর্তা প্রাণভয়ে অফিস করছেন না। ফলে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার অনেক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আপনারা জানেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবনে হামলা হয়। তখন ব্যাপক ভাঙচুর এবং আগুন লাগানো হয়। এতে ইপিআই, কন্ট্রোল রুমসহ সব ধ্বংস হয়ে যায়। এই ক্ষতিটা কার হলো? এটা তো জনগণের সেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত একটা প্রতিষ্ঠান। এটাকে ক্ষতিগ্রস্ত করলে পক্ষান্তরে তো নিজেদেরই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।
মহাপরিচালক নিয়োগ নিয়ে বর্তমানে যে অচলাবস্থার তৈরি হয়েছে সেটিও একই বিষয়। মহাপরিচালক যেই হোক না কেন তাকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে। সবারই উচিত তাকে সহযোগিতা করা। কিন্তু তা না করে আবারও ভাঙচুরের আন্দোলন শুরু করতে চাচ্ছে কিছু মানুষ। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এদিকে অধিদপ্তরের এই অস্থিরতার কারণে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিভিন্ন সেবাও ব্যাহত হচ্ছে। নিয়মিত কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে।
একই রকম স্থবিরতা তৈরি হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএসএমএমইউতেও। একদিনের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটি থেকে উপাচার্যসহ পদত্যাগ করেন ৬ জন শীর্ষ কর্মকর্তা। এর বিপরীতে ৯ জন চিকিৎসককে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে পদায়ন করলেও উপাচার্য বা উপউপাচার্য হিসেবে কেউই নিয়োগ পাননি। ফলে কার্যত হাসপাতালটির দাপ্তরিক বিভিন্ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু এটি মানুষের জরুরি চিকিৎসাসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান, তাই এটিতে ২৪ ঘণ্টা একজন অভিভাবক জরুরি। নানান জটিল সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন উপউপাচার্যের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গত দুইদিন যাবৎ সবধরনের দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে রোগীদের চিকিৎসাসেবাও।
আন্দোলনের মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাজে যোগ দিতে না পারলে সেনাবাহিনী প্রহরায় তাকে দিয়ে কাজ করানো অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) যদি কাজ না পারেন অথবা অদক্ষ হন তাহলে আমরা তাকে বদলি করে দেব।
কিন্তু তাকে তো কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তিনি আমার আগে যোগদান করেছেন। তার যোগদানপত্র গ্রহণ করে অনুমোদন করা হয়েছে। এরপরও তিনি যদি কর্মস্থলে যোগদান না করতে পারেন তাহলে তিনি এবং আপনারা পরামর্শ দেবেন। একটা স্থায়ী সমাধান করতে দেন। ডিজি যদি কাজ না পারেন বা অদক্ষ হন তাহলে আমরা তাকে বদলে দেব। তাকে বসতে দেওয়ার আগে তো এসব কথা বলার সময় আসেনি। সিনিয়র সচিব আরও বলেন, আমি প্রশাসনে ছিলাম।
আমি জানি একজনকে পিঠে হাত দিয়ে ঠিক করতে হবে নাকি টিয়ার গ্যাস দিয়ে ঠিক করতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে ডিজির অনুমোদন হয়েছে। তিনি আজকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, কালকে যাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং তৃতীয় দিনে যাওয়ার চেষ্টা করলে এবং সাংবাদিক, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের সহায়তা নিয়ে যোগদান করতে ব্যর্থ হলে তাকে আমরা আর্মি পাহারায় সেখানে রাখতে পারব না।
এ ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। সচিব বলেন, আমাকে কোনো রাজনৈতিক গ্রুপ চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না। আমাকে চাপ সৃষ্টি করতে পারবে সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। ডিজি যোগদান করবেন কি না এটা ভোটাভুটির বিষয় না। কারণ ডিজি অফিসে যতগুলো লোক আছে তার দশগুণ লোক আছে মাঠে। তিনি তো নির্বাচিত না। যদি ভোটাভুটি হয় তাহলে সারা বাংলাদেশ দুই ভাগ হলেও বেশিরভাগ লোক তাকেই চাইবে।
অস্থিরতা বিএসএমএমইউতে ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটির কর্মীরা এতদিন সব খাতেই দাপটের সঙ্গে কাজ করেছে। বাইরে ছিল না স্বাস্থ্য খাতও। এই খাতের মন্ত্রী থেকে শুরু করে সচিব, ডিজি এমনকি চিকিৎসকদেরও একটা বড় অংশ ছিল এই দলের অনুগত।
বিশেষ করে দেশের সবগুলো সরকারি হাসপাতালে সরব ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতাকর্মীরা। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের পদ-পদবি হারিয়েছেন প্রায় সবাই। ওইদিনের পর থেকেই প্রাণভয়ে পালিয়েছেন অনেকে। পান নানান রকম হুমকি। তাই আতঙ্কে চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ হাসপাতালে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজে ফিরলেও এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। চিকিৎসক সংকটে বেশিরভাগ হাসপাতালেই এখনো হচ্ছে না জটিল কোনো অস্ত্রোপচার।
ক্ষমতার পালা বদলের জেরে গত ১৮ আগস্ট প্রথমে পদত্যাগ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান। তার কিছুক্ষণ পরেই পদত্যাগ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকও। পরে ধাপে ধাপে পদত্যাগ করে সব উপউপাচার্য।
এর একদিন পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপৎকালীন সময়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকদেরকে প্রশাসনিক পদে পদায়ন করা হলেও প্রায় ১০ দিন পর নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানকে। কিন্তু তার নিয়োগ নিয়েও তৈরি হয় অস্থিতিশীল পরিবেশ।
সবচেয়ে বড় এ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অস্থিতিশীল পরিবেশ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছি। এটা করতে অনেক সময় লেগেছে। কারণ পুরো স্ট্রাকচার ভেঙে গেছে। আমি যখন তার বিষয় প্রস্তাব দেই তখন আমার চাকরির বয়স চার ঘণ্টা। আজকে চতুর্থ দিনে তিনি জয়েন করেছেন। তাকে যদি কর্মস্থলে ঢুকতে না দেয় তাহলে তিনিই বলবেন তিনি কি চান।
এখনো নানান হুমকি পাচ্ছেন আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকরা সরকার পতনের প্রায় এক মাস হতে চললেও স্বাস্থ্যখাতে ফেরেনি স্থিতিশীলতা। এখনো অনেক চিকিৎসক প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এখনো অনেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন না বলেও জানা গেছে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদে (স্বাচিপ) মতাদর্শী এক চিকিৎসক মুঠোফোনে জানান, প্রাণভয়ে এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি এবং তার অনুরাগী অন্য চিকিৎসকরা।
মুঠোফোনে বিভিন্ন রকম হুমকি পাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই তারা জীবনের নিরাপত্তা না পেলে কাজে আসবে না। এতে রোগীদের সাময়িক কষ্ট হবে স্বীকার করে ওই চিকিৎসক বলেন, আমরা রাজনীতি করার আগেও একজন চিকিৎসক। মানুষের সেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু বাঁচতে না পারলে কিভাবে সেবা দেব বলেন?
তবে চিকিৎসাসেবাকে কোনোভাবেই রাজনীতিকরণের সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘদিন একটা সরকার ক্ষমতায় থাকলে তাদের অনুগত লোকজন সব খাতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে চিকিৎসা পেশা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সৃষ্টিকর্তার পরেই মানুষ চিকিৎসকদের স্থান দেয়।
তাই কোনো চিকিৎসককে যদি রাজনীতি করতেই হয় ভবিষ্যতে যেন হাসপাতালের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না। জরুরি এই সেবাখাতে এমন অস্থিরতা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যদি এরকম চলতে থাকে তাহলে ৯০ দিন কেন ৯ বছরেও স্বাস্থ্যখাতের স্থরিবতা কাটবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।